ঢাকাশনিবার , ৫ ডিসেম্বর ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. দেশজুড়ে
  3. পজিটিভ বাংলাদেশ
  4. ফটো গ্যালারি
  5. ফিচার
  6. ভিডিও গ্যালারি
  7. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাচনে আ’লীগ প্রার্থী মোস্তফা মুন্সি’র ইশতেহার ঘোষনা

প্রতিবেদক
Kolom 24
ডিসেম্বর ৫, ২০২০ ৭:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

গোয়ালন্দের উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মোস্তাফা মুন্সী নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করেছেন। আগামী ১০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার ৫ ডিসেম্বর গোয়ালন্দ মোস্তফা মেটাল ইন্ডাষ্ট্রিজ লি: নিজ কার্যালয়ে সকাল ১১ ঘটিকায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করেন। তিনি উল্লেখ করেছেন জনগনের ভোটে নির্বাচিত হলে সবাই কে সঙ্গে নিয়ে গোয়ালন্দের শিার মান উন্নয়ন, নদী ভাঙ্গন রোধ, আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা, কৃষকদের জীবনমান উন্নয়ন, গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন, বিদ্যুৎ সুবিধা, খেলাধুলার মান উন্নয়ন, দৌলতদিয়া ঘাট চাঁদাবাজ মুক্ত করা সহ সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম খাঁন, সাধারন সম্পাদক বিপ্লব কুমার ঘোষ, সহ-সভাপতি মো. গুলজার হোসেন মৃধা, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফকীর মো. আমজাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. নাসীর উদ্দিন রনি, গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন মাহমুদ রেজা, গোয়ালন্দ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আ. সামাদ মোল্লা, উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম সালু প্রমুখ।

ঘোষিত পূর্ণ ইশতেহার :
প্রিয় গোয়ালন্দবাসী,
আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, বাঙালী জাতির মুক্তিদাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, ১৫ আগষ্ট কালো রাতে ঘাতকের আঘাতে শাহাদাৎ বরণকারী বঙ্গমাতা ফজিলাতুননেছা মুজিব সহ সকল শহীদকে এবং ৩ নভেম্বর জেলখানায় শাহাদাৎ বরণকারী ৪ জাতীয় নেতাকে । আমি আরও স্মরণ করছি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ ল শহীদদের এবং ২ ল সম্ভ্রমহারনো মা বোন যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। আমি সাধারণ একটি কৃষক পরিবারের সন্তান। সততা, দতা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে আজকের পর্যায়ে এসে আপনাদের সামনে উপনীত হয়েছি। তাই সকল মেহনতি ও পরিশ্রমী মানুষকে আমার সশ্রদ্ধ সালাম।

প্রিয় গোয়ালন্দবাসী, বর্তমান সময়ে গোয়ালন্দ উপজেলার উপ-নির্বাচন অনাকাঙ্খিত। এই নির্বাচন আমাদের অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় প্রিয় উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম এ বি এম নুরুল ইসলাম এর ইন্তেকাল জনিত কারণে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি ও তার পরিবারসহ সকলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। এই প্রোপটে গোয়ালন্দ উপজেলার চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সভাপতি জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক উপহার দিয়ে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে গোয়ালন্দ উপজেলার উপ-নির্বাচনে নৌকা মার্কা প্রতীক নিয়ে আপনাদের কাছে হাজির হয়েছি।

পদ্মাপাড়ের এই ছোট উপজেলা গোয়ালন্দ কিন্তু এর রয়েছে দীর্ঘ ঐতিহ্য। পদ্মার করাল গ্রাসে প্রতিবছর নদী ভাঙনের কবলে পড়ে মানুষ ভিটে মাটি ও ফসলি জমি হারিয়ে সর্বশান্ত হয়।নদী ভাঙন, মাদক, সন্ত্রাস ও বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত আমাদের গোয়ালন্দ উপজেলা। একজন উপজেলা চেয়ারম্যান এ সকল সমস্যা কতটুকু সমাধান করতে পারবে তা প্রশ্ন সাপে। তবুও কবিগুরু রবিন্দ্রনাথ এর ভাষায় –
“কে লইবে মোর কার্য, কহে সন্ধ্যা রবি
শুনিয়া জগৎ রহে নিরুত্তর ছবি।
মাটির প্রদীপ ছিল, সে কহিল,স্বামী।
আমার যেটুকু সাধ্য তা করিব আমি”
তবে আমি যদি উপজেলা পরিষদে আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসতে পারি তাহলে আমার ব্যাক্তিগত প্রচেষ্টা এবং উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সকল সমস্যা সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশিত পথ অনুসরন করে মাদক, সন্ত্রাস, খুন, হত্যা চাঁদাবাজি, নারী ও শিশু পাচার, জমি দখলের মত এ ধরনের অপকর্ম নির্মুলে প্রশাসনকে সাথে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনে উদ্যেগী হব।

গোয়ালন্দ উপজেলার মানুষের অন্যতম সমস্যা। গোয়ালন্দে দুইটি সরকারি হাইস্কুলে শিক সংকট দীর্ঘদিনের। যদিও আমি জানি এেেত্র উপজেলা চেয়ারম্যান এর মতা সীমিত। তারপরও আমি চেষ্টা করবো আপনাদের সাথে নিয়ে এই উপজেলার শিােেত্র বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধান করতে।
গোয়ালন্দ উপজেলায় যে ইউনিয়নে কোন হাইস্কুল নেই। সেখানে শিার মান উন্নয়নের লে আমার নিজ উদ্যোগে একটি হাইস্কুল স্থাপন করা হবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহৎ উদ্দেশ্যে স্কুল-কলেজে যে সকল আই সি টি ল্যাব স্থাপন করেছেন।প্রধানমন্ত্রীর সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে এবং শিার্থীদের আই টি দতা অর্জনে আ সি টি ল্যাবে নিয়মিত প্রশিন নিশ্চিত করতে, উপজেলা পরিষদের সহযোগিতায় সকল প্রকার তদারকি এবং সহযোগিতা প্রদান করা হবে এবং গোয়ালন্দ উপজেলায় শিার্থীরা পড়ালেখার পাশাপাশি যেন আউটসোর্সিং বিষয়ে আগ্রহী ও দতা অর্জন করে সেই ল্েয করণীয় পদপে গ্রহন করা হবে।
গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলৎদিয়া ইউনিয়নের অন্যতম পদ্মা নদী ভাঙ্গনে জর্জরিত হওয়া কুশাহাটা গ্রাম। পদ্মায় জেগে ওঠা এ চরে ১২০টি পরিবারে সহস্রাধিক মানুষের বসতি। চরাচঞ্চলের এই মানুষগুলো যাতায়াত,শিা, সাংস্কৃতি ইত্যাদি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত।সেখানে ইতিমধ্যে আমার নিজ উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। যাতে পদ্মার পাড়ে বেড়ে ওঠা কুশাহাটা গ্রামের সকল শিশুরা শিার আলো থেকে বঞ্চিত না হয় এবং শুধু শিা নয় তাদের মৌলিক চাহিদা পূরনে সকল প্রকার সহযোগিতা ও উদ্যোগ গ্রহন করা হবে ইনশাআল্লাহ।
গোয়ালন্দ উপজেলার স্বাস্থ্য সমস্যা আরো একটি বড় সমস্যা। গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের স্বল্পতার কারনে গোয়ালন্দ উপজেলা বাসী স্বাস্থ্য েেত্র যথাযথ সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। এ পর্যায়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে দ্রুত ডাক্তার সংকট নিরসন করা হবে।

গোয়ালন্দ উপজেলার বঞ্চিত অসহায় দুঃস্থ রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতি সাপ্তাহে উপজেলা কমপ্লেক্সে আমার ব্যক্তিগত গত উদ্যোগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদ্বারা চিকিৎসা প্রদান করা হবে।

গোয়ালন্দ উপজেলার জনগনের জন্য উপজেলার মুমূর্ষু রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা ব্যবস্থার ল্েয নিজ উদ্যোগে একটি অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ করা হবে। যেটা বিনা মূল্যে উপজেলার যে কোন মুহূর্ষ রোগীদের সেবায় ২৪ ঘন্টাই নিয়জিত থাকবে।

নদী ভাঙন কবলিত গোয়ালন্দ উপজেলার মানুষের বাসস্থান একটি বড় সমস্যা। আশার কথা হলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা দিয়েছেন মুজিববর্ষে কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না। আমি আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হতে পারলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এর ঘোষনা অনুযায়ী গোয়ালন্দ উপজেলায় গৃহহীন আশ্রয়ন প্রকল্প প্রথমধাপে বাস্তবায়ন করা যায় সেই প্রচেষ্টা চালাবো এবং নদী ভাঙন রোধে সরকার কর্তৃক গৃহীত প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হয় সে জন্য প্রচেষ্টা চালাবো।
গোয়ালন্দ সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অগ্রসরমান একটি উপজেলা। গোয়ালন্দ উপজেলার বিনোদন ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে উৎসাহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করবো। গোয়ালন্দে শিল্পকলা একাডেমী, অডিটেরিয়াম, গ্রন্থাগারকে পুনরায় চালু করার চেষ্টা করবো।
গোয়ালন্দের মানুষ দল মত নির্বিশেষে সকলেই মিলেমিশে বসবাস করার এতিহ্য রয়েছে। ধর্ম যার যার উৎসব সবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে আস্থা রেখে সকল ধর্মীয় কর্মকান্ডে প্রয়োজনীয় সহোযোগীতা করবো।

সুস্থ দেহ সুস্থ মন এজন্য খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। আমি খেলাধুলাকে সর্বোচ্চ অগ্রধিকার দিয়ে তরুণ ও যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী সারা দেশের উপজেলা পর্যায়ে খেলাধুলা সম্প্রসারণের ল্েয প্রসাশনের সহযোগীতায় গোয়ালন্দ উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে উদ্যেগী হব।

বেকারত্ব গোয়ালন্দে একটি প্রকট সমস্যা। ব্যাক্তিগত পর্যায়ে ও সরকারি পর্যায়ে যাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি অব্যহত রাখব।
দক্ষিনবঙ্গের প্রবেশদ্বার দৌলৎদিয়া ঘাটকে মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত রাখার চেষ্টা চালাবো।

প্রিয় গোয়ালন্দবাসী আমরা শান্তি ও সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি।
গোয়ালন্দ উপজেলার সকল মানুষ মিলে দলমত নির্বিশেষে একটি সুখি সমৃদ্ধ গোয়ালন্দ গড়ে তুলতে পারি সেটি আমার স্বপ্ন। আর এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আপনার একটি ভোট আমার উৎসাহ অনুপ্রাণিত করবে। আগামী ১০ তারিখে জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকে আপনাদের মূল্যবান ভোট প্রদানের জন্য বিনীতি ভাবে অনুরোধ জানাই।

Comments

comments