কিশোরগঞ্জে আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে হাত বাঁধা অবস্থায় এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের স্টেশন রোডের হোটেল গোল্ডেন পার্ক থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তির নাম নাহিদ খান ওরফে অভি (৩৪)। তিনি তাড়াইল উপজেলার তালজাঙ্গা এলাকার আবদুল হক খানের ছেলে।
এদিকে হাত বাঁধা ঝুলন্ত মরদেহ দেখে জনমনে রহস্য ও প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
গোল্ডেন পার্ক হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, গত বুধবার সন্ধ্যায় নাহিদ খান তিনতলার ৩০৪ নম্বর কক্ষটি ভাড়া নেন। এর পর থেকে তিনি সেখানেই ছিলেন। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুর গড়িয়ে রাত হলেও কক্ষটি ভেতর থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় রাতে হোটেলের লোকজন সেখানে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। তবে ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে কক্ষটির ভেতরে প্রবেশ করে এবং সেখানে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় নাহিদের মরদেহ দেখতে পায়। এ সময় মরদেহের দুই হাত গামছা দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ছিল। খবর পেয়ে স্বজনেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি নাহিদের বলে শনাক্ত করেন।
নিহতের মা হাসনা খানম ও চাচাত বোন লাবন্য খান জানান, নাহিদ ঢাকার একটি বেসরকরি বিশ্ববিদ্যালয়ে চার্টার্ড একাউন্টেন্ড বিষয় নিয়ে অধ্যয়ন করতেন। বিগত প্রায় ৭ বৎসর যাবৎ সে মানষিক সমস্যায় ভুগছিলেন। নাহিদ খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। সবসময় ইংরেজিতে কথা বলতো। একা একা দেয়ালের সাথে কথা বলতো।
তালজাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সেলিম খান বলেন, নাহিদ চিকিৎসাধীন। তাঁর মৃত্যু আমাদের কাছে সন্দেহজনক। বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দাবি জানাচ্ছি।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙ্গে কক্ষটির ভেতরে প্রবেশ করে এবং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পায়। এসময় মরদেহের দুই হাত গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। মারা যাওয়া যুবকের সঙ্গে থাকা পরিচয়পত্রে ঠিকানা দেখে স্বজনদের খবর দেওয়া হয়।
ওসি জানান, রাতেই মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
Comments
comments