জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ এবং সংশ্লিষ্টতা থাকায় কিশোরগঞ্জের ইটনা ও জেলা পর্যায়ের তিন যুবলীগ নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুবলীগ।
বহিষ্কৃতরা হলেন,ইটনা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম কবির শ্যামল, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান সোহেল এবং ইটনা উপজেলার সাবেক যুবলীগ কর্মী মো. বাছেদ মিয়া।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বকুল এবং দুই যুগ্ম-আহ্বায়ক মীর আমিনুল ইসলাম সোহেল ও মো. রুহুল আমিন খান স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় আদর্শ ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, বহিষ্কৃতরা এনসিপির ইটনা উপজেলা কমিটিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়েছেন এবং শ্যামল এনসিপির একটি পথসভায় প্রকাশ্যে বক্তব্য রেখেছেন,যা যুবলীগের গঠনতন্ত্রের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। নোটিশে এনসিপিকে ‘জুলাই মাসের রাজনৈতিক সহিংসতায় জড়িত গোষ্ঠী’ বলেও দাবি করা হয়েছে।
বহিষ্কারের বিষয়টি দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রবিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন যুগ্ম-আহ্বায়ক রুহুল আমিন খান।
জানা গেছে, গত শনিবার (২৬ জুলাই) কিশোরগঞ্জ শহরের পুরানথানা এলাকায় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের অংশগ্রহণে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে গোলাম কবির শ্যামল মঞ্চে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যের দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি দলের ভেতরে ও বাইরে আলোচনার জন্ম দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোলাম কবির শ্যামল পূর্বে থেকেই যুবলীগের কার্যক্রম থেকে দূরে ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। তার বাবা ওমর ফারুক ইটনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান।
অপরদিকে, মো. বাছেদ মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগের কোনো কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন না এবং দলীয় মূল্যায়নের অভাবে নিজেই সংগঠন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এখন তিনি এনসিপিতে সক্রিয়।
এনসিপির ইটনা উপজেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মো. নাজমুল ঠাকুর বলেন, ‘যারা বহিষ্কৃত হয়েছেন, তাদের মধ্যে অনেকে আগেই যুবলীগ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তাদের বিরুদ্ধে কৌশলী প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের নেতাদের বারবার ফোন করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Comments
comments