ঢাকাবুধবার , ২ নভেম্বর ২০২২
  1. অন্যান্য
  2. দেশজুড়ে
  3. পজিটিভ বাংলাদেশ
  4. ফটো গ্যালারি
  5. ফিচার
  6. ভিডিও গ্যালারি
  7. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কটিয়াদীতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের রাতে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৫, লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার

প্রতিবেদক
Kolom 24
নভেম্বর ২, ২০২২ ৪:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের রাতে কটিয়াদীতে ডাকাতির ঘটনায় ৪জন ডাকাত ও একজন জুয়েলারি মালিককে লুন্ঠিত মালামালসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (০২ নভেম্বর) সকালে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ। এর আগে মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) রাতে কটিয়াদী, পাকুন্দিয়া ও পার্শ্ববর্তী জেলার গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হল- কটিয়াদী উপজেলার পাইকসা এলাকার মোঃ আলী (৩০), মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন (৫০), কটিয়াদী উপজেলার সাটিয়াদী এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে বাচ্চু (৪০), একই এলাকার আঃ কাদিরের ছেলে সুলতান (২৮) ও পাকুন্দিয়া উপজেলার তালদশি এলাকার হরিপদ সাহার ছেলে জুয়েলারি মালিক বাপন সাহা (৩৫)।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, গত সোমবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কটিয়াদী উপজেলার উত্তর ঘিলাকান্দি এলাকার মোঃ মাসুদ রানা আকন্দ (৪৬) এর বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার যার মুল্য ৭ লাখ টাকা ও নগদ ১৮ লাখ টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায় দস্যু দল। ঘটনার রাতেই পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে বাদী মোঃ মাসুদ রানা আকন্দ ও তার পরিবারের দেয়া তথ্য মতে গত বুধবার (২৬ অক্টোবর) এ ঘটনায় কটিয়াদী উপজেলার উত্তর ঘিলাকান্দি এলাকার সাদ্দাম (২২) ও মোঃ মাহফুজকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করতে গিয়ে বেড়িয়ে আসে এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের নাম। বাদীর পরিবারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনার রাতে বাড়িতে ৪ জন ঢোকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এবং বাড়ির সামনে আরও কয়েকজন অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। এর মধ্যে এজহারনামীয় আসামিদের বাদীর পরিবারের সদস্যরা চিনতে পারে।

মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত করে এ পর্যন্ত ৭ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এজহারনামীয় আসামি সাদ্দাম ও মাহফুজকে ঘটনার পরদিনই আমরা গ্রেপ্তার করি। পরে মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) রাতে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ৩ জন, কটিয়াদী থেকে ১ জন, পাকুন্দিয়া থেকে ১ জনসহ মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের  জিজ্ঞাসাবাদে বাপন সাহার দোকান থেকে এক জোড়া স্বর্ণের দুল, দুইটি স্বর্ণের বালা, একটি স্বর্ণের চেইন, তিনটি স্বর্ণের আংটি ও স্বর্ণ বিক্রির নগদ ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাতির সাথে জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদেরকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তারকৃত ৫ জন আসামিকে বুধবার (০২ নভেম্বর) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাক সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নূরে আলম, হোসেনপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার, কটিয়াদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী মাহফুজ হাসান সিদ্দিকী ও মামলার তদন্তকারী উপপরিদর্শক দুলাল মিয়া প্রমুখ।

Comments

comments