ঢাকামঙ্গলবার , ৬ অক্টোবর ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. দেশজুড়ে
  3. পজিটিভ বাংলাদেশ
  4. ফটো গ্যালারি
  5. ফিচার
  6. ভিডিও গ্যালারি
  7. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ও দুর্নীতির ‘প্রমাণ’ পেয়েছে দুদক

প্রতিবেদক
Kolom 24
অক্টোবর ৬, ২০২০ ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, খাদ্য সরবরাহকারী, সুপারভাইজার ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কাযার্লয় দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক মো: ফারুক আহমেদ ও উপসহকারী পরিচালক মো: এনামুল হকের নেতৃত্বে চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারী একটি অভিযান পরিচালনা করে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম। অভিযান শেষে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গত ২২শে মার্চ ঢাকাস্থ দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কাযার্লয়ের উপপরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেন।

*অভিযানে অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পেয়েছে দুদক
*উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: তানভীর হাসানসহ ২ জনকে বদলির সুপারিশ
* ঠিকাদারী লাইসেন্স বাতিল নির্দেশ



প্রতিবেদনের বিবরণে জানা যায়, হাসপাতালের রোগীদের খাবার প্রদানে অনেক অনিয়ম ও নিম্নমানের খাবার দেয়া হচ্ছে। যে পরিমাণ খাদ্য দেওয়া প্রয়োজন তা না দিয়ে নাম মাত্র খাবার দেয়া। তালিকায় উল্লেখিত খাদ্যের চেয়ে প্রায় অর্ধেক পরিমাণ খাবার প্রদান। রেকর্ডপত্রের ও সরেজমিনে পরিদর্শনকালে হাসপাতালে রোগীদের নামে মাত্র ও নিম্নমানের খাবার প্রদান, আবাসিক কোয়াটার্রে অন্যত্র বদলী হওয়ার পরও ডাক্তাদের অবস্থান করতে দেয়া হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম ও নিজের কতর্ৃত্ব বজায় রেখে নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য অবহেলা করেছেন। রোগীদেরকে কম ও নিম্নমানের খাবার প্রদানের অভিযোগটি প্রমাণিত হওয়ায় কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন বরাবর পত্র প্রেরণের মাধ্যমে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: তানভীর হাসান, সিনিয়র স্টাফ নার্স জেবুন নেসা খানমকে অন্যত্র বদলি এবং ঠিকাদার আজিজুল হক ভূঁইয়া রুবেলের ঠিকাদারী লাইসেন্স বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।



গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের একটি পত্রে যার স্মারক নম্বর- ০০.০১.০০০০.১০৯.৩০.০০১.১৯-১২০৫ উল্লেখ করা হয় সরেজমিন অভিযানে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খাবার সরবরাহকারী ও পথ্য ঠিকাদার মো: আজিজুল হক ঠিকাদারী গ্রহণ করার পর থেকেই অনেক নিম্নমানের ও প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রায় অর্ধেক পরিমাণ খাবার প্রদান করে। উক্ত কাজে তাকে সহায়তা করেছেন সিনিয়র স্টাফ নার্স জেবুন নেসা খানম। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: তানভীর হাসান হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম ও নিজের কর্তৃত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলা করেছেন মর্মে দুদক টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়। এমতাবস্থায়, দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম কর্তৃক প্রতিবেদনের সুপারিশের আলোকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: তানভীর হাসান, সিনিয়র স্টাফ নার্স জেবুন নেসা খানমকে অন্যত্র বদলি এবং ঠিকাদার আজিজুল হক ভূঁইয়া রুবেলের ঠিকাদারী লাইসেন্স বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে ২৯শে অক্টোবরের মধ্যে কমিশনকে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।



এ প্রসঙ্গে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: তানভীর হাসানের বক্তব্য নিতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দুদক। তো কি হইছে? আমি কোন বক্তব্য দিবো না।

কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা: মো: মুজিবুর রহমানও এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।



Comments

comments