ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৯ জানুয়ারি ২০২৩
  1. অন্যান্য
  2. দেশজুড়ে
  3. পজিটিভ বাংলাদেশ
  4. ফটো গ্যালারি
  5. ফিচার
  6. ভিডিও গ্যালারি
  7. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

করিমগঞ্জে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি

প্রতিবেদক
Kolom 24
জানুয়ারি ১৯, ২০২৩ ২:৩০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী প্রজ্ঞা মোস্তফাকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে নাারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে আদালত দন্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন এবং অর্থদণ্ডের এ টাকা প্রজ্ঞা মোস্তফার কন্যা প্রশংসাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেয়ার রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া দেলোয়ার হোসেন ওরফে মাহতাব (৪১) জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার কাদির জঙ্গল ইউনিয়নের উত্তর চানপুর গ্রামের মৃত ইমাম উদ্দিনের ছেলে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে দেলোয়ার হোসেন ও ইটনা উপজেলার লাইন পাশা গ্রামের মোঃ আহসান মোস্তফার মেয়ে প্রজ্ঞা মোস্তফার বিয়ে হয়। বিবাহিত জীবনে তাদের ঘরে এক কন্যা সন্তান প্রশংসার জন্ম হয়। দেলোয়ার হোসেন ও প্রজ্ঞা মোস্তফার বিয়ের তিনমাস পরেই স্বামী দেলোয়ার হোসেন বিদেশে পাড়ি জমান। কিন্তু বিদেশ থেকে দুই মাস পরেই দেলোয়ার দেশে চলে আসেন এবং বেকার হয়ে পড়েন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেলোয়ার ব্যবসা করার জন্য প্রজ্ঞা মোস্তফার কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে চাপ দিতে থাকে এবং শারীরিক নির্যাতন করে। ২০১৯ সালের ২১ মার্চ সকালে আবারও প্রজ্ঞা মোস্তফাকে জোর তাগিদ দেন টাকা এনে দেয়ার জন্য। টাকা এনে দিতে অস্বীকার করলে ঝগড়া বিবাদের এক পর্যায়ে দেলোয়ার হোসেন উত্তেজিত হয়ে ঘরে থাকা গরু জবাই করার লম্বা ছোরা দিয়ে প্রজ্ঞার মাথায়, কানে, গালে, হাতে ও ঘাড়ে কোপায়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রজ্ঞার মৃত্যু হয়। ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই করিমগঞ্জ থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মাসুদ আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে এ রায় দেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর স্পেশাল পিপি এম এ আফজল বলেন, আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এ রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

আসামিদের স্বজনরা বলেন, আমরা উচ্চ আদালতের দারস্থ হব।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নাারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর স্পেশাল পিপি এম এ আফজল ও আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী মিয়া মোহাম্মদ ফেরদৌস।

Comments

comments