কালোবাজারে চড়াদামে ট্রেনের টিকিট বিক্রি হচ্ছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব বাজার জংশন রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্ণীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (০৫ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালিত হয় দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, দুদকের কিশোরগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক পিয়াসের নেতৃত্বে উপসহকারী পরিচালক জাবেদ হোসেন সজল ও রোমান উদ্দিনের সমন্বয়ে ৩ সদস্যের একটি টিম ভৈরব জংশনে ছদ্মবেশে মূল ঘটনা জানার চেষ্টা করে এবং উপস্থিত যাত্রীদের কাছে ঘটনার সত্যতা পায়। কোনো যাত্রী যদি সিট নিয়ে তার গন্তব্যস্থলে যেতে চায়, তাহলে তাকে কালোবাজারির কাছ থেকে টিকিট কিনতে হয় চড়াদামে। ছদ্মবেশে অভিযানকালে ভৈরব উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকার ইদু মিয়ার ছেলে টিকিট কালোবাজারির মূলহোতা মতির (৫৬) সহযোগী জয়নালকে (৪৫) বিভিন্ন ট্রেনের ৭টি টিকিটসহ গ্রেপ্তার করা হয়। টিকিট কালোবাজারি মতি দুদকের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই সটকে যায়। পরে স্টেশনের বুকিং অফিস ও টিকিট কাউন্টার তল্লাশি করা হয়।
বিভিন্ন ট্রেনের যাত্রীরা বলেন, কালোবাজারিদের কাছ থেকে উচ্চমূল্যে টিকিট সংগ্রহ করতে হয়। টিকিট নিয়ে বিড়ম্বনার শেষ নেই এ অঞ্চলের ট্রেন যাত্রীদের। বিভিন্ন ট্রেনের টিকিট নিয়ন্ত্রণ করে কালোবাজারিরা। এরা সংঘবদ্ধ চক্র। দুদক যদি নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করত তাহলে আমরা এ অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতাম।
দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, কালোবাজারি জয়নালকে গ্রেপ্তার করে স্টেশন মাস্টারের হেফাজতে দিয়েছে দুদক টিম। স্টেশনে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়া যাত্রীদের টিকিট সরবরাহ করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দুর্ণীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
ভৈরব বাজার জংশন রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোঃ নুরুন্নবী বলেন, কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে দুদক টিম স্টেশনে অভিযান পরিচালনা করে। কালোবাজারি জয়নালকে এ সময় বিভিন্ন ট্রেনের ৭টি টিকিটসহ দুদক গ্রেপ্তার করে এবং আমার হেফাজতে দেয়। জয়নালের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
Comments
comments