রেলকে যখন যাত্রী বান্ধব পরিবহন করার চেষ্টা চলছে তখন কিশোরগঞ্জের যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে মারাত্মক দুর্ভোগ। রেলের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে কালোবাজারিদের হাতে টিকিট চলে যাওয়ায় কাউন্টার থেকে বেশিরভাগ সময় খালি হাতে ফিরতে হয় যাত্রীদের। ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে বিক্রির সঙ্গে জড়িত চক্র ও এর মদদ দাতারা বারবার চিহ্নিত হলেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয় না কর্তৃপক্ষ। নানা কারণে নিরীহ যাত্রী সাধারণ নির্ধারিত সময়ে লাইনে দাঁড়িয়েও পায় না চাহিদার ট্রেনের কোন টিকিট। অথচ কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের কাউন্টারের সামনেই কালোবাজারিদের কাছে হাত বাড়ালেই মিলে ট্রেনের টিকিট। টিকিট কাউন্টারের সামনেই দেদারছে চলে কালোবাজারে টিকিট বিক্রি। সাধারণ যাত্রীরা বাধ্য হয়েই টিকিট কিনে তাদের কাছ থেকে। তাদের চালচলন দেখলেই বোঝা যায় তারা প্রভাবশালী মহলের মদদে টিকিট বিক্রি করে। অবশেষে র্যাব-১৪ সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের হাতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে ৬৭টি টিকিটসহ কালোবাজারি চক্রের সক্রিয় সদস্য সাবু মিয়া (৬৬) ধরা পড়ল। জেলা শহরের পূর্বতারাপাশা এলাকা হতে তাকে আটক করা হয়। সাবু মিয়া জেলা শহরের পূর্বতারাপাশা এলাকার মৃত হাসু মিয়ার পুত্র।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে একটি কালোবাজারি চক্র রেলওয়ে ষ্টেশন ও আশপাশের এলাকায় ট্রেনের টিকিট অনলাইন ও কাউন্টার থেকে অগ্রিম ক্রয় করে অবৈধভাবে নিজেদের কাছে মজুদ করে রাখে ও পরবর্তিতে সাধারণ জনগনের মাঝে বেশি দামে উক্ত টিকিট বিক্রয় করে। তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের পর সাবু মিয়াকে বিভিন্ন তারিখের কিশোরগঞ্জ টু ঢাকাগামী ট্রেনের ৬৭ টি আসনের অগ্রিম টিকিটসহ আটক করা হয়।
র্যাব-১৪ (সিপিসি-২) কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোঃ শাহরিয়ার মাহমুদ খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামি রেলের টিকিট কালোবাজারির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
Comments
comments