কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট কাযার্লয়ে দালালের মাধ্যমে পাসপোর্ট করতে এসেছিলেন এক যুবক। এ সময় তিনি নিজেকে করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা পরিচয় দেন। তার নাম উল্লেখ করেন সাদেক হোসাইন। ওই যুবকের কথাবার্তায় সন্দেহ হয় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের। তিনি জিজ্ঞাসাবাদে বুঝতে পারেন যুবকটি রোহিঙ্গা। পরে তাকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কাযার্লয়ে এ ঘটনা ঘটে।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোহিঙ্গারা যাতে পাসপোর্ট করতে না পারে সে বিষয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্তক করা হয়। এরই অংশ হিসেবে সাদেকের আবেদন গ্রহন না করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সাদেক স্বীকার করে মিয়ানমারের সিনধীপাড়া থেকে কক্সবাজার হয়ে চট্টগ্রাম এসেছিলেন। ৮-৯ বছর যাবত তিনি চট্টগ্রামের গরিবুল্লাহ হাউজিংয়ে বসবাস করে একটি মুদির দোকানে কাজ করছেন। অবৈধভাবে মালেশিয়াতে বসবাসকারী তার বড় ভাই রহমান পাসপোর্ট করিয়ে দেয়ার দালাল ইমাম হোসেনের কাছে গত শনিবার পাঠায়। ইমাম হোসেন জেলা শহরের আজিমুদ্দিন স্কুল সংলগ্ন এলাকায় ভাড়া থাকেন। ওই বাড়িতেই রোহিঙ্গা সাদেক ৪ দিন যাবত থাকছেন। পাসপোর্টের আবেদনে করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ হোসইনকে পিতা ও লতিফাকে মাতা পরিচয় দেন। প্রকৃতপক্ষে তার বাবার নাম মৃত আনোয়ার হোসেন এবং পিতা পরিচয় দানকারী মোহাম্মদ হোসেন তার মামা হয়। ছাব্বিশে সেপ্টেম্বর উনিশ শত আটানব্বই সাল দেখিয়ে একটি জন্মসনদও দিয়েছেন সঙ্গে। জন্মসনদ ইস্যুর তারিখ এক সেপ্টেম্বর দুই হাজার আঠারো যার নম্বর ১৯৯৮৪৮১৪২৭৭১১৪৯৩৩। ওই পাসপোর্ট আবেদনপত্রে প্রত্যায়নকারী হিসেবে আইনজীবী এ.এম সাজ্জাদুল হকের নাম রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কাযার্লয়ের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, সাক্ষাৎকারের সময় তার ভাষাগত সমস্যা দেখা দেয় এবং দাখিলকৃত বাবা-মা এর জাতীয় পরিচয়পত্র ভূয়া হিসেবে শনাক্ত হয়। পরে সাদেক স্বীকার করে সে রোহিঙ্গা নাগরিক।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।