কিশোরগঞ্জে পুরোনো গ্লানি, হতাশা আর মলিনতাকে পেছনে ফেলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশায় বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে পয়লা বৈশাখে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম ও পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার)’র নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়েছে। ১৪২৯ সনের বাংলা নববর্ষের (১৪ এপ্রিল) সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি পুরাতন স্টেডিয়াম থেকে বের হয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়।
করোনার কারণে গত দুই বছর বন্ধ থাকার পর ইউনেসকো কর্তৃক মানবতার স্পর্শাতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষিত শোভাযাত্রায় এবার সশরীরে সবাই উপস্থিত হয়েছে। আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী উপস্থাপনের নানা বিষয় স্থান পেয়েছে শোভাযাত্রায়।
এবার রমজান মাস হওয়ায় পয়লা বৈশাখে পান্তা-ইলিশের আয়োজন নেই। তবে পান্তা-ইলিশের আয়োজন না থাকলেও নববর্ষ বরণে মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি ছিল না।
শোভাযাত্রায় যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন ছিলো ব্যাপক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। পুরো এলাকা কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো ছিল।
মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলা নববর্ষ, ১৪২৯ উপলক্ষে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার), জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এম এ আফজল, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দিলারা বেগম আছমা ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন প্রমুখ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত শিক্ষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সাংবাদিকবৃন্দ।
Comments
comments