ঢাকারবিবার , ১৬ জুলাই ২০২৩
  1. অন্যান্য
  2. দেশজুড়ে
  3. পজিটিভ বাংলাদেশ
  4. ফটো গ্যালারি
  5. ফিচার
  6. ভিডিও গ্যালারি
  7. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জে ভাইবোনকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার চার- পুলিশ সুপার

প্রতিবেদক
Kolom 24
জুলাই ১৬, ২০২৩ ৫:০৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ভাইবোনকে হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্তসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৫ জুলাই) সকালে লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে মোঃ ইমরানকে (২৬) ও কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলা থেকে আরমান মিয়াকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আরেক আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৬) হওয়ায় তার নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। এর আগে গত শুক্রবার (১৪ জুলাই) এ মামলার আসামি ফরিদা ইয়াসমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার আসামিরা হোসেনপুর উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের কুড়িমারা গ্রামের মোঃ আব্দুল কাদিরের ছেলে। অন্যদিকে নিহতরা হলেন একই এলাকার শামসুল ইসলামের ছেলে মাহমুদুল হাসান আলমগীর ও মেয়ে নাদিরা খাতুন।

বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, বিরোধপূর্ণ জমিতে চারাগাছ রোপন ও কাটাকে কেন্দ্র করেই এই জোড়া খুনের ঘটনাটি ঘটে। গত বুধবার (১২ জুলাই) বিকালে আসামি মো: আব্দুল কাদির বিরোধীপূর্ণ জমিতে রোপনকৃত কয়েকটি চারাগাছ কেটে ফেলে নতুন গাছের চারা রোপন করে। এর জের ধরে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে আসামিরা আবার জমিতে চারাগাছ রোপন করতে গিয়ে দেখে আগের দিনের লাগানো চারাগাছগুলো উপরে ফেলে দিয়েছে। তখন আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে শামসুল ইসলামের বাড়ীতে গিয়ে ডাকাডাকি এবং গালিগালাজ করলে শামসুল ইসলাম, বড় ছেলে মাহমুদুল হাসান আলমগীর, স্ত্রী শাহিদা, মেয়ে নাদিরা, মেঝো ছেলে হুমায়ন কবির ও ছোট ছেলে সালমান ঘর থেকে বের হয়ে তাদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করেন। পরে শামসুল ইসলামের পরিবারের ওপর হামলা চালায় আসামিরা।

পুলিশ সুপার জানান, হামলার সময় আসামি ইমরান চাচাতো ভাই আলমগীরের ঘাড়ে চাকু দিয়ে ঘাই মেরে টান দিয়ে ঘাড় প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেয়। আলমগীরকে বাঁচাতে তার মা ও ভাই–বোনেরা এগিয়ে গেলে আসামি ইমরান নাদিরার পেটে ছুরিকাঘাত করে। ঘটনাস্থলে আলমগীর মারা যায়। উপুর্যপুরি হামলায় আলমগীরের মা, ভাই ও বোন গুরুতর আহত হন। এ সময় ঘটনাস্থলেই আলমগীর মারা যায়। অন্যদিকে নাদিরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, গ্রেপ্তার আসামিরা আমাদের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করছে। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়াল, কোদাল, লোহার খুন্তি, দা ও চাকু উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মোস্তাক সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিসএবি) নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ আল আমিন হোসাইন, হোসেনপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার ও হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান টিটু প্রমুখ।

Comments

comments