কিশোরগঞ্জে মাদক ব্যবসা নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলা যুবদলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আলী আব্বাস রাজন গ্রুপ এবং সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক এমদাদুল হক এমদাদ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার বৌলাই পুরান বাজার এলাকায় এ ঘটনা।
এ ঘটনায় ইমরানুল হক হিমেল (২৪) নামে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। নিহত হিমেল বৌলাই ইউনিয়নের মূল সতাল চরপাড়া গ্রামের হবি মিয়ার ছেলে ও রাজনের অনুসারী। হিমেলের নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিকেলে রাজন গ্রুপের লোকজন এমদাদের বাড়িঘরে আগুন দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা যুবদলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আলী আব্বাস রাজন এবং সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নতুন বৌলাই এলাকার বাসিন্দা এমদাদ হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে শুক্রবার দুপুরে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে রাজন গ্রুপের ইমরানুল হক হিমেল এবং এমদাদ গ্রুপের লিয়াকত গুরুতর আহত হয়। আহত দুজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ইমরানুল হক হিমেল মারা যায়। ইমরানুল হক হিমেল জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনের ভাগনে। তার মৃত্যুসংবাদ এলাকায় পৌঁছলে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট এবং আগুন দেয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন বলেন, এটা দলীয় কোনো বিষয় না। ঘটনাটি ঘটেছে তাদের দুইজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, এটা কোনো রাজনৈতিক কোনো ইস্যু না। এটা মাদক নাহয় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঘটেছে। আমরা দলীয় তদন্ত করে কারও কোনো সংশ্লিষ্টতা পেলে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করবো।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
Comments
comments