ঢাকাসোমবার , ১৯ ডিসেম্বর ২০২২
  1. অন্যান্য
  2. দেশজুড়ে
  3. পজিটিভ বাংলাদেশ
  4. ফটো গ্যালারি
  5. ফিচার
  6. ভিডিও গ্যালারি
  7. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জে শ্রমিকদের দুই পক্ষের সংর্ঘষ, আহত ১০, পুলিশের ফাঁকা গুলি, বাস চলাচল বন্ধ

প্রতিবেদক
Kolom 24
ডিসেম্বর ১৯, ২০২২ ৭:৫৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের আন্তঃজেলা গাইটাল বাস টার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ জেলা মটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কায়সার আহমেদ কাইয়ুম ও সাবেক দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ কমপক্ষে ১০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ ও ১১ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়ে। এ ঘটনার পরপরই কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাওয়া সকল রুটের বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে শ্রমিক ইউনিয়ন।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে যাতায়াত পরিবহনের কাউন্টারে কিশোরগঞ্জ মটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কায়সার আহমেদ কাইয়ুম ও কিশোরগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির আহবায়ক কমিটির সদস্য শফিকুল ইসলাম মানিক এসে গাড়ি বন্ধ রাখতে বলে। যাতায়াত পরিবহনের পরিচালক ও কিশোরগঞ্জ মটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, শ্রমিক কাঞ্চন, বাবু গাড়ি বন্ধ রাখার কারণ জিজ্ঞেস করতে গেলে তাদের মারপিট করে। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। যাতায়াত পরিবহনের কাউন্টার বক্স কুপিয়ে নষ্ট করে ফেলে তা বাসটার্মিনালের পিছনে নিয়ে যায়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১১ রাউন্ড ফাঁকা রাবার বুলেট ছুঁড়ে। ঘটনার পরপরই শ্রমিক ইউনিয়নের একটি পক্ষ কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাওয়া সকল রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে যাত্রীরা অসহনীয় যন্ত্রণায় পড়ে। কয়েকজন যাত্রী বলেন, তাদের গন্ডগোলের কারণে আমরা কেনো যন্ত্রণা ভোগ করব। আমাদের কি দোষ। আমাদের জরুরি ঢাকা যাওয়া লাগবে। বেসরকারি চাকরিটাও আর পাবো না, কিভাবে পাবো পরীক্ষাতো আর দিতে পারছি না এসবের কারণে।

কিশোরগঞ্জ মটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কায়সার আহমেদ কাইয়ুম বলেন, মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বাসটার্মিনালে কাজ হবে। যাতায়াত পরিবহনের চেয়ারম্যান মানিক সরকারের কাছ থেকে সাধারণ মালিকেরা ১০-১৫ লাখ টাকা পাবে। এই টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত গাড়ি চালানো বন্ধ থাকবে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবো। আমাদের ওপর হামলার ঘটনায় যারা জড়িত তারা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত সকল রুটের বাস চলাচল বন্ধ রেখেছি।

যাতায়াত পরিবহনের পরিচালক ও কিশোরগঞ্জ মটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, যাতায়াত পরিবহনের ৫০টি বাস ১৮দিন যাবত বন্ধ। শফিকুল ইসলাম মানিক ৫ লাখ টাকা চাঁদা চাইছিল। চাঁদা না দিলে একটি গাড়িও চলবে না। মঙ্গলবার বিকেলে আমরা বাস চালু করলে আমাদের কাউন্টার মানিক পিছনে নিতে বলে। আমরা কাউন্টার পিছনে কেনো নিব জিজ্ঞেস করলে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমাদের একজন শ্রমিক নেতা কাঞ্চন মারাত্মক আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আমি নিজেও আহত হয়েছি।

কিশোরগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন মানিক বলেন, শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতিকে কে বা কাহারা/সন্ত্রাসীরা মারপিট করেছে এ কারণে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ সব গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছে। মালিক সমিতি শ্রমিক ইউনিয়ন নিয়েই চলবে। শ্রমিক ইউনিয়ন যা করবে এতে আমাদের সর্মথন রয়েছে।

যাতায়াত পরিবহনের চেয়ারম্যান মানিক সরকার বলেন, শ্রমিক নামধারী সন্ত্রাসী শফিকুল ইসলাম মানিক আমাকে বলে “যাতায়াত পরিবহন বাসটার্মিনাল থেকে চালাতে হলে আমাকে এককালীন ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে এবং মাসে ১ লাখ টাকা করে দিয়ে যেতে হবে।” চাঁদা না দেয়ার কারণে গত ১ ডিসেম্বর আমার যাতায়াত পরিবহনের ৫০টি বাস বন্ধ করে দেয়। সোমবার বিকেলে বাস চালু করতে চাইলে শফিকুল ইসলাম মানিক ও কিশোরগঞ্জ মটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কায়সার আহমেদ কাইয়ুমের নেতৃত্বে হামলা চালায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও হোসেনপুর সার্কেল) মোহাম্মদ আল-আমিন হোসাইন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ ও ১১ রাউন্ড ফাঁকা রাবার বুলেট ছুঁড়ে।

Comments

comments