সম্পত্তি রক্ষায় কিশোরগঞ্জের পৌর এলাকার বর্তমান ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার মৃত মোঃ গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী মোছাঃ জিন্নাত আরা নামের এক বৃদ্ধা নারী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা শহরের একরামপুর এলাকার একটি ক্লিনিকে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোছাঃ জিন্নাত আরার পুত্রবধূ আফরিন সুলতানা আফিয়া।
তিনি বলেন, জিন্নাত আরার বড় ছেলে সোহাগ মারা যাওয়ার পর তার ছোট ছেলে সুজন কিশোরগঞ্জ পুরানথানাস্থ সোহাগ টাওয়ার স্থাপনা তৈরি করে ব্যবসা করছিলো। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সুজনও মারা যায়। মারা যাওয়ার ৩ দিনের মধ্যেই সুজনের ফিসারী দখল করে মাছ ছাড়া, ডিসের ব্যবসা, দোকানের সবকিছু জিন্নাত আরার একমাত্র বড় মেয়ে নাজমা ও তার স্বামী আমিনুল ইসলাম আশফাক তাদের কাছে সবকিছু বুঝিয়ে দিতে বলে। এমনকি ঘরে বন্দি করে বাহিরে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে। পরবতর্ীতে এলাকাবাসীর স্মরণাপন্ন হয়ে জিন্নাত আরা তার মেয়ের ওয়ারিশ বুঝিয়ে দেয়ার অনুরোধ করেন। এ বিষয়ের পর সবার সাথে খারাপ আচরণ ও সুজনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে রাখা সমস্ত দলিলপত্র তালা ভেঙে নিয়ে যায়। আশফাক ও তার ছেলের ভয়ে আমরা সারাক্ষণ আতংকে থাকি। জিন্নাত আরা তার মেয়ের সম্পূর্ণ ওয়ারিশ বুঝিয়ে দিয়ে পরিত্রান চায়।
অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম আশফাক তার উপরে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, আমাকে হেয় করার জন্য এসব প্রচারণা। আমার কোন দোষ থাকলে তা আমি মাথা পেতে নিবো।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, পুলিশ গিয়ে জিন্নাত আরা এবং তার পরিবারের সদস্যদের আটকানো অবস্থায় পায়নি। আর বিষয়টি পারিবারিক ওয়ারিশ সংক্রান্ত। পুলিশের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে আদালতে গিয়ে এ ব্যাপারগুলো সুরাহা করতে।
Comments
comments