কিশোরগঞ্জে হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক মাহবুবুর রহমানের (৪৫) বিরুদ্ধে ‘সমকামিতার’ অভিযোগে মামলায় আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী। কিশোরগঞ্জের ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মাহমুদুল ইসলামের আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সুচারুরূপে তথ্য-প্রমাণাদি যাচাই করে তদন্তে বিষয়টির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। গত ২ সেপ্টেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত এ বিষয়ে কথা বলতে কিশোরগঞ্জের হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক মাহবুবুর রহমানকে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
হর্টিকালচার সেন্টারের উপসহকারী উদ্যান কর্মকর্তা বিপ্লব চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ওই বাবুর্চি মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। এর বাইরে এখন কিছুই বলতে পারবো না। আদালত আগামী ১২ই নভেম্বর শুনানির তারিখ ধার্য করেছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে ডরমিটরির দ্বিতীয় তলায় খাবার দিতে যান ওই যুবক। টেবিলে খাবার রাখার পর শরীর ব্যথা করছে বলে তাঁকে ম্যাসাজ করে দিতে বলেন উপপরিচালক মাহবুবুর রহমান। শরীর ম্যাসাজের একপর্যায়ে ওই কর্মকর্তা জোরপূর্বক তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করেন। এ ছাড়া ডান হাতের কবজির ওপর কামড়ে মারাত্মক জখম করা হয়। এ সময় ভুক্তভোগী কান্নাকাটি শুরু করলে তাঁকে বলা হয়, বিষয়টি কারও কাছে বললে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে এবং প্রাণে মেরে ফেলা হবে।
এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির উপসহকারী উদ্যান কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও আনা হয় নির্যাতনের অভিযোগ। ভুক্তভোগী বলেন, উপসহকারী উদ্যান কর্মকর্তা বিপ্লব চন্দ্র বিশ্বাস অনেক আগে থেকে তাঁকে কয়েকবার মারধর করেন। বাবুর্চি বলেন, সর্বশেষ ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লোহা আগুনে পুড়ে তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। এতে তিনি মারাত্মক জখম হন। পরে হাসপাতালে যেতে না দিয়ে ঠান্ডা পানি ও ডিম ভেঙে লাগিয়ে ব্যথা ও জ্বালা কমানোর চেষ্টা করেন বিপ্লব। পরে এ ঘটনার চার দিন পরে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন ভুক্তভোগী।
Comments
comments