কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় বাস ও সিএনজি চালিত অটো রিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। রবিবার (০৬ নভেম্বর) সকালে উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের নোয়াগাঁও মধুয়ারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৩২ বাসস্ট্যান্ড এলাকার জামালের ছেলে সিএনজি চালক রিফাত (২৬), একই এলাকার মৃত রইস উদ্দিনের স্ত্রী জহুরা বেগম (৬৫)। এ ঘটনায় সিএনজিতে থাকা অন্য তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন এবং অন্য দুইজন ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের ছয়সূতী নোয়াগাঁও এলাকায় সকালে ভৈরব থেকে ছেড়ে আসা একটি সৌখিন এক্সপ্রেস বাস এবং কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা একটি সিএনজির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। বাসটি দুর্ঘটনা এড়াতে মহাসড়কের কিনারায় চলে যাওয়ার চেষ্টা করলেও অপরদিক থেকে আসা সিএনজিটি ছিলো বেপরোয়া। সিএনজিটি অন্য একটি সিএনজিকে ওভারটেক করে যাওয়ার সময় বাসটির সামনে চলে আসে। বাসটির চালক চেষ্টা করেও দুর্ঘটনা এড়াতে পারেনি। মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি চালক রিফাত ও জহুরা বেগম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। দুর্ঘটনার পরপরই বাস চালক ও তার সহযোগী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সিএনজি চালিত অটো রিকশা অন্য আরেকটি সিএনজিকে ওভারটেক করতে গিয়ে বাসটির সামনে চলে যায়। ওই সময় বাসটি আঞ্চলিক মহাসড়কের কিনারায় চলে গেলেও সিএনজিটিকে রক্ষা করতে পারেনি এবং মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমরা কাছে গিয়ে দেখি সিএনজিটি চুরমার হয়ে গেছে। বাসের কয়েকজন যাত্রী এবং আমরা মিলে সিএনজিতে থাকা একজন পুরুষ ও একজন মহিলার মরদেহ বের করে রাস্তার পাশে রাখি।
জানা যায়, পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব ছিল রিফাতের ওপর। সিএনজি চালিয়েই সে তার পরিবারের অন্নের যোগাড় করতেন। অন্যদিকে জহুরা বেগম ভৈরবে তার আত্মীয়ের বাড়িয়ে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। দুজনের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের ৩২ বাসস্ট্যান্ডে। তাদের মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ও ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
Comments
comments