তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স গ্রহণ এবং বিক্রয়স্থলে তামাক পণ্য প্রদর্শন নিষিদ্ধকরণসহ মোট ৭টি খসড়াকে অযৌক্তিক দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি। সোমবার (১লা আগস্ট) সকালে ময়মনসিংহ রোডস্থ গাইটাল অতিথি কমিউনিটি সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক শতাব্দীর কন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক আহমেদ উল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পোল্ট্রি ফিড ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি এ কে এম শামসুল ইসলাম খান মাসুম।কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি ইকবাল আহম্মেদ চৌধুরী অপু।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি শেখ ফরিদ আহম্মদ জানান, সম্প্রতি সকল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের লাইসেন্সকরণ, ধূমপান এলাকা ব্যবস্থা বিলুপ্তিকরণ, খুচরা শলাকা নিষিদ্ধকরণ, পাবলিক প্লেসের সংজ্ঞায় চায়ের দোকান অন্তুর্ভুক্তিকরণ, বিক্রয়স্থলে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন নিষিদ্ধকরণ, ফেরি করে তামাকজাত পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং সার্বিকভাবে জরিমানার পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধিকরণসহ মোট ৭টি খসড়া তৈরি করেছে সরকার, যা ব্যবসায়ীদের জন্য হুমকিস্বরূপ। এই খসড়া প্রণয়ন করা হলে ১৫ লক্ষ প্রান্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও খুচরা বিক্রেতা বেকার হবে এবং তাদের পরিবারের সদস্যসহ প্রায় ৮০ লক্ষ নিম্ন আয়ের মানুষের দৈনিক জীবিকার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এছাড়া অবৈধ পণ্যে বাজার সয়লাব হবে এবং সরকার রাজস্ব হারাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এই অবস্থায় প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বাঁচাতে নতুন এই আইন প্রণয়ন না করার দাবি জানান শেখ ফরিদ আহম্মদ। সংবাদ সম্মেলনের সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলাউদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক ছাড়াও ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
Comments
comments