কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় চাঞ্চল্যকর সোহরাব উদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (০৩ এপ্রিল) সকালে করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া এলাকা ও সদর উপজেলার নীলগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার দুজন হলেন, তাড়াইল উপজেলার চর তালজাঙ্গা এলাকার মৃত আব্দুল হেকিমের ছেলে মজনু মিয়া (৫০) ও একই এলাকার মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে রোমান মিয়া (২১)।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ আল আমিন হোসাইন এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত রোববার (০২ এপ্রিল) মজনু মিয়া জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সোহরাব উদ্দিনের বাড়ির সামনে কাঁচা রাস্তার ওপরে এসে সোহরাব উদ্দিনকে নাম ধরে ডাকাডাকি ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে সোহরাব উদ্দিন বাড়ি থেকে বের হয়ে মজনু মিয়াকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করেন। এ সময় মজনু মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে সোহরাব উদ্দিনের শার্টের কলার ধরে টান দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। পরে মজনু ও তার সহযোগীরা সোহরাবকে এলোপাথারিভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল, ঘুষি ও লাথি মারে। এ সময় সোহরাব অজ্ঞান হয়ে পড়লে মজনু ও তার সহযোগীরা কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা সোহরাবকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহরাবকে মৃত ঘোষণা করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ আল আমিন হোসাইন বলেন, সোহরাবের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসার পর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ হেফাজতে নেয়। পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহত সোহরাবের ছেলে মোঃ মনিরুজ্জামান রুবেল বাদী হয়ে সোমবার (০৩ এপ্রিল) চার জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামি করে তাড়াইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের দিক নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মোখলেছুর রহমান সোমবার সকালে এজহারনামীয় আসামি মজনু মিয়া ও রোমান মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। মজনু মিয়া ও রোমান মিয়াকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Comments
comments