ঢাকামঙ্গলবার , ৫ এপ্রিল ২০২২
  1. অন্যান্য
  2. দেশজুড়ে
  3. পজিটিভ বাংলাদেশ
  4. ফটো গ্যালারি
  5. ফিচার
  6. ভিডিও গ্যালারি
  7. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তীব্র যানজট ও ভয়াবহ শব্দ দূষণে নাকাল কিশোরগঞ্জ পৌরবাসী

প্রতিবেদক
Kolom 24
এপ্রিল ৫, ২০২২ ৭:২৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

প্রায় তিন লাখ মানুষের শহর কিশোরগঞ্জ। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ২৪ হাজার ৫০০ জন মানুষের বসবাস। প্রাচীন এ শহর এক সময় শান্তির শহর হিসেবেই পরিচিত ছিল দেশবাসীর কাছে। গত পাঁচ বছরে এ শহর হয়ে উঠেছে বসবাসের অনুপযোগী। তীব্র যানজট ও ভয়াবহ শব্দ দূষণে জীবন বিষিয়ে উঠেছে। নিষিদ্ধ থ্রি হুইলার আর অটো রিকশার জটে নাকাল হয়ে আছে কিশোরগঞ্জ পৌরবাসী। ট্রাফিক নিয়ম না মেনে যত্রতত্র স্ট্যান্ড বানিয়ে যাত্রী উঠানামা আর হর্ণের দৌরাত্ম্য এ শহরের মানুষদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে।

এদিকে ১০.৩৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের পৌর এলাকায় ৬ শতাধিক থ্রি হুইলার চলাচলে পৌর কতর্ৃপক্ষের অনুমতি থাকলেও চলাচল করছে সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি। সংকট নিরসনে স্থানীয় প্রশাসনের বক্তব্য হলো ‘চেষ্টা করা হচ্ছে’।

পৌরবাসীদের অভিযোগ, শহরের বেশির ভাগ সড়কই সরু। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ থাকে পার্কিং আর দোকানীদের দখলে। ফলে শহরের হাতে গোনা কয়েকটি সড়ক ছাড়া ফুটপাত দিয়ে হাঁটার জো নেই। আর গলি দিয়ে হাটতে গেলে প্রায় সময় এসব অটো রিকশা গায়ের উপরে উঠে যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, সদর হাসপাতাল, জজ কোর্ট এলাকা, কালিবাড়ি মোড়, পুরানথানা, একরামপুর, তেরপট্টি মোড়, বড়বাজার, গৌরাঙ্গ বাজার, আখড়া বাজার মোড় এলাকায় প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট করে যানজটে আটকা পড়ে রয়েছেন যাত্রীরা। অথচ হেঁটে যাওয়ার পথ ৫ থেকে ৭ মিনিটের।

সূত্র জানায়, শহরের দশটি পয়েন্টে বাইশজন ট্রাফিকসহ মোট বায়ান্নজন ট্রাফিক নিয়ে নিয়মিত ডিউটি করেন। অথচ যানজট নিরসনে এদের ভূমিকা অতি নগন্য।

ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আব্দুল হামিদ জানান, ৬০০ ইজি বাইকের জায়গায় ৬ হাজার ইজিবাইক চলাচল করলে স্বাভাবিকভাবেই যানজট সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে বড় ধরণের ট্রাক বা কোন গাড়ি ঢুকলে পুরো শহর জুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। এর বাইরে গ্রাম থেকে আসা থ্রি-হুইলার আর অটো রিকশার কারণে মূলত যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছে মানবিক বিবেচনা করে কিছু বলা যায় না। তবে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।

জেলার ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ সভাপতি ফিরোজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, যানজট অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। রাস্তা ছোট এর মধ্যে আবার অবৈধ ফুটপাত। হেঁটে চলার মত শহর তৈরির জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। যা পৌর মেয়র কতৃপক্ষের জন্য জরুরি। জনসচেতনতামূলক সভা সমাবেশ করেও যানজট শিথিল করা যায়। সংগঠনের পক্ষে আমরাও জনসচেতনতামূলক প্রচারণা করে যাচ্ছি।

পৌর মেয়র মোঃ পারভেজ মিয়া বলেন, যানজট নিরসনে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিআরটিএ এবং পৌরসভার প্রতিনিধিসহ আমাদের সকলের সমন্বয়ে জরুরি। আমার পক্ষে একা সম্ভব নয়।

উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে কিশোরগঞ্জ শহরে ইজিবাইক নামানো হয়। গত সাড়ে ছয় বছরে ইজিবাইকের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। বিগত দিনে সিদ্ধান্ত হয়, শহরে ছয়শত ইজিবাইক চলাচল করবে। সেই লক্ষ্যে পৌর কর্তৃপক্ষ ছয়শত ইজিবাইকের লাইসেন্স দিয়েছে। বাকি প্রায় পাঁচ হাজার ইজিবাইক মিশুক শহর থেকে সরাতে পারেনি পৌর কর্তৃপক্ষ।

Comments

comments