কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাসান আল মামুন বলেছেন, আমাদের শিকড় বাংলাদেশে। দিল্লি, পিন্ডি অথবা লন্ডন আমাদের শিকড় নয়। ৫৬ হাজার বর্গমাইলে আমাদের উপস্থিতি।
বুধবার (১৬ জুলাই) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে জুলাই গণহত্যার বিচার দাবিতে কিশোরগঞ্জে ছাত্রশিবিরের “জুলাই দ্রোহ” মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় শহরের শহীদী মসজিদে সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে গুরুদয়াল সরকারি কলেজের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
সভাপতি হাসান আল মামুন বলেন— “জুলাই সনদ ও গণহত্যার বিচার দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। এটি শুধু অতীতের দায়বদ্ধতা নয়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথেও একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আমরা অবিলম্বে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানাই—কারণ ছাত্রসমাজের অধিকার আদায়ে নির্বাচিত নেতৃত্ব অপরিহার্য। আজকের বাংলাদেশে আবারও নতুন করে চাঁদাবাজির সংস্কৃতি গড়ে উঠছে। এই চাঁদাবাজদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আরেকটি উদ্বেগজনক প্রবণতা হচ্ছে—অপরাধ করে তার দায় অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা। এই দোষ চাপানোর রাজনীতি এখনই বন্ধ করতে হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।”
কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাসান আল মামুনের নেতৃত্বে মিছিলে জেলা শাখার সেক্রেটারি ফকির মাহবুবুল আলম, বাইতুলমাল সম্পাদক আবু আহমেদ, অফিস সম্পাদক মোজাহিদ বিল্লাহ, ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক এইচ এম ফরহাদ ভূইয়া, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি এমদাদুল হক এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা এবং কলেজ শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Comments
comments
