কিশোরগঞ্জে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় হিমেল হাওয়া বয়ে চলায় জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে বাতাসে খেটে খাওয়া এসব মানুষ আরও কাহিল হয়ে পড়েন। কাহিল হয়ে জবুথবু অবস্থায় মানুষ। সাধারণ মানুেষর বেশির ভাগই ঘরে ছিলেন। রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা।
এদিকে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে মধ্যবয়স্করা ভিড় জমাচ্ছে বিভিন্ন ফার্মেসিতে। তবে সিভিল সার্জন সাইফুল ইসলাম বলছেন, জেলায় ঠান্ডা রোগীর সংখ্যা বাড়েনি। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে এখন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫০ জন ভর্তি আছে। অন্যদিকে আয় কমে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ আছে নিদারুণ কস্টে।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সূত্র জানায়, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জে। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকালে কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা নিকলীতে ৯ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের বাসিন্দা রিকশাচালক হান্নান বলেন, গত রাত থেকেই কুয়াশার কারণে রাস্তাঘাট তেমন দেখা যাচ্ছে না। সেইসঙ্গে সূর্যের দেখা নেই সারা দিন। তবে হঠাৎ করে ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে বেশি শীত লাগছে। লোকজনের তেমন দেখা নেই। তাই এখন পর্যন্ত ভাড়া হয়েছে মাত্র ২০০ টাকা।
ইটনা উপজেলার বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম বলেন, জমিতে বোরো ধান লাগানোর কথা ছিল। কিন্তু শীতের কারণে শ্রমিক পাচ্ছি না। ঠাণ্ডা পানিতে দীর্ঘ সময় আমি নিজেও কাজ করতে পারছি না।
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় নির্মিত প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার ফারুক জানান, আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত তাপমাত্রা এমনই থাকবে। রোববার (১৪ জানুয়ারি) থেকে তাপমাত্রা বাড়বে।
কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, হাওরাঞ্চলে বোরো ধান রোপন শেষ। তীব্র শীতে ফসল বাড়ে কম। তবে চিন্তার খুব একটা কারণ নাই। আমাদের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র রয়েছে। কম্বল বিতরণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে। জেলা প্রশাসন শীর্তাত মানুষের পাশে রয়েছে।
Comments
comments