টানা ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হাওরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে হাওরপাড়ের মানুষ। বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবেশ করে নিকলী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৩০ বর্গ কিলোমিটার প্লাবিত হয়েছে। পানি বিপদসীমার তিন ফুট ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও মাদ্রাসা। তবে জেলা প্রশাসনের কর্মতৎপরতা প্রশংসনীয়। মঙ্গলবার (২১ জুন) বিকেলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম নিকলী উপজেলার কারপাশা, দামপাড়া ও সদর ইউনিয়নে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ৩০০ বন্যার্ত পরিবারে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন।
বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও খাদ্য সহায়তা প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, নিকলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস ভূইয়া জনি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসান, ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজুল হক আয়াজ, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কারার শাহরিয়ার আহমেদ তুলিপ, কারপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাকি আমান খান, দামপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
নিকলী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কারার শাহরিয়ার আহমেদ তুলিপ বলেন, আমার ইউনিয়নে প্রায় এক হাজারের অধিক পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। ১০০ পরিবারের মাঝে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পানিবন্দি সকল পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, পানি বৃদ্ধি এখনো অব্যাহত আছে। বন্যা মোকাবিলায় যা করার দরকার সবই আমরা করছি। আমরা আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছি। বারো হাজারের মতো মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি যদি আরও খারাপ হয় তবে আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ মজুদ আছে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার। উপজেলা প্রশাসন যা চাচ্ছে যেভাবে চাচ্ছে আমরা তাই দিচ্ছি।
উল্লেখ্য যে, ৩০০ পরিবারের মাঝে প্রতি প্যাকেট ১০ কেজি চাল, এক লিটার তেল, এক কেজি ডাল, এক কেএজি চিনি, ২০০ গ্রাম হলুদ, ১০০ গ্রাম মরিচ, ১০০ গ্রাম ধনিয়া, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দেয়া হয়েছে।
Comments
comments