ঢাকামঙ্গলবার , ২১ নভেম্বর ২০২৩
  1. অন্যান্য
  2. দেশজুড়ে
  3. পজিটিভ বাংলাদেশ
  4. ফটো গ্যালারি
  5. ফিচার
  6. ভিডিও গ্যালারি
  7. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যা মামলার দুই আসামির দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর

প্রতিবেদক
Kolom 24
নভেম্বর ২১, ২০২৩ ৫:১৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে প্রবাসীর স্ত্রী ও তার দুই মেয়েকে হত্যার মামলায় রিমান্ড শুনানি শেষে গ্রেপ্তার দুই আসামির দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালতের বিচারক। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে তাঁদের আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড চায় হোসেনপুর থানা পুলিশ। পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিন্নাত আরা দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে হত্যার ঘটনায় বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হোসেনপুর উপজেলার সাহেদল ইউনিয়নের বাসুর চর গ্রাম থেকে জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) ও জহিরুল ইসলাম ছোটনকে (৩৩) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর আলম হোসেনপুর উপজেলার সাহেদল ইউনিয়নের বাসুর চর গ্রামের মৃত আবদুস সোবাহানের ছেলে এবং জহিরুল ইসলাম ছোটন একই গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন, আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলার রিমান্ড শুনানি হয়েছে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে যে প্রাথমিক তথ্য এবং এখন পর্যন্ত তদন্তে যে প্রাপ্ত তথ্য আছে তার সামঞ্জস্যতা ও সুস্পষ্টতা নির্ধারণের জন্যই আমরা ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করি। বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে ২ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে হোসেনপুর থানায় নিহত তাছলিমা আক্তারের ভাই ও তার দুই মেয়ে মোহনা ও বন্যার মামা কবিরুল ইসলাম নয়ন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এরও আগে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে জেলার হোসেনপুর উপজেলার সাহেদল ইউনিয়নের বাসুর চর গ্রামে নিজ ঘরের দুটি বিছানা থেকে সৌদি আরব প্রবাসী মঞ্জিল মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা আক্তার (৩৫), বড় মেয়ে মোহনা (১১) ও ছোট মেয়ে বন্যা (৭) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, মঞ্জিল মিয়া পাঁচ বছর আগে সৌদি আরবে যান। বাড়িতে তার স্ত্রী তাছলিমা তাদের দুই মেয়ে মোহনা ও বন্যাকে নিয়ে বসবাস করতেন। দুই মেয়ের মধ্যে মোহনা স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি এবং বন্যা প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে মোহনাকে স্কুলে নিয়ে যেতে তার বান্ধবী ফারজানা তাদের ঘরে যায়। মোহনাকে সে ডাকাডাকি করে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজায় ধাক্কা দিতেই দরজাটি খুলে যায়।

পরে ভেতরে গিয়ে সে মা ও দুই মেয়েকে মৃত অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার নেয়। পরে অন্যরা ঘরে গিয়ে তাদের লাশ দেখতে পায়। স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের দুটি বিছানায় মা ও দুই মেয়ের লাশ পায়। খবর পেয়ে জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর দুইটার দিকে ময়মনসিংহ সিআইডির ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে এসে নমুনা সংগ্রহ শুরু করে। নমুনা সংগ্রহ শেষে বিকেলে তারা ফিরে যায়।

Comments

comments