জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, এই বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হিসেবে উপস্থাপন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অনেক মানুষ হুমকির মুখে ফেলতে চায়। এই বাংলাদেশের হিন্দু মুসলমান, এই বাংলাদেশের বৌদ্ধ খ্রিস্টান বাংলাদেশে সম্প্রীতিতে বসবাস করবে। সেটা যদি কারও পছন্দ না হয় সে ঘরের এককোনায় বসে কাঁদুক। বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক বলে গালি দেয়ার অধিকার কোনো মানুষের নাই।
শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে জেলা শহরের পুরান থানায় অনুষ্ঠিত পথসভায় এনসিপির এই নেতা এসব কথা বলেন। ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই পথসভা করে এনসিপি।
তিনি বলেন, এই বাংলাদেশকে নিয়ে এই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে নিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ডুবিয়ে দিতে বাংলাদেশের কোনো কোনো অঞ্চলকে দাগ দিয়ে তারা আলাদা করার কুচেষ্টা করছে। আমরা শপথ করে বলি আমাদের গায়ে একফোঁটা রক্ত থাকতে বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জায়গা আমরা পরাধীন হতে দিব না।
তিনি আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে এনসিপির যাত্রাকে আর কোনো বাধা আটকিয়ে রাখতে পারবে না। বাংলাদেশকে নিয়ে, জুলাই গণ অভ্যুত্থান নিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র পাতানো হচ্ছে। এতোগুলো মানুষ শহীদ হলো, এতোগুলো মানুষের জীবনপ্রদীপ নিভিয়ে দিলো, এতো মানুষকে পঙ্গু করলো, এতো মানুষের চোখের আলো কেড়ে নিলো আর ওরা যারা জনতার ওপর গুলি চালিয়েছিলো দুই একজন পুলিশের কথা বলে বাংলাদেশকে বিভাজন করতে চায়।
এএনসিপি এই নেতা বলেন, এই বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাসের পড়তে পড়তে ধর্ম গোত্রের বিভাজন ভুলে জাতির স্বার্থে এক হয়েছি। সেই বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন, সেই পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন, স্বাধীনতা যুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিটি সংকটে বাংলাদেশের সকল মানুষ রাজপথে একসাথে নেমে এসেছিলো।
আখতার হোসেন বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানের সংস্কার করতে হবে। বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিস, বাংলাদেশের আইন-আদালত, বাংলাদেশের থানাগুলোকে জনগণের সেবার উপযোগী করতে হবে।
আখতার হোসেন আরও বলেন, আমাদের নারীরা যারা রাস্তায় ঘুরতে পারে না। এখন একদল আসছে তাদের প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হলে তারা আমাদের বোনদেরকে ধর্ষণ করে। বাংলাদেশের নারীরা এখন পর্যন্ত তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে নাই। বাংলাদেশের মেয়েরা যারা স্কুলে যাবে আর একদলের লোকেরা তাদের প্রেমের প্রস্তাব দিবে৷ সেই প্রস্তাবে রাজি না হলে তারা তাদের ধর্ষণ করবে। ধর্ষণ করার হুমকি দিবে এমন বাংলাদেশ আমরা চাই না।
Comments
comments