ঢাকাশুক্রবার , ১১ আগস্ট ২০২৩
  1. অন্যান্য
  2. দেশজুড়ে
  3. পজিটিভ বাংলাদেশ
  4. ফটো গ্যালারি
  5. ফিচার
  6. ভিডিও গ্যালারি
  7. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাজিতপুরে যুবলীগ নেতার অফিস ভাঙচুর, প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

প্রতিবেদক
Kolom 24
আগস্ট ১১, ২০২৩ ১০:৫৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাজিতপুর পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হোসেন আশরাফের সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতৃত্বে অফিস, দোকান এবং গ্যারেজ ভাঙচুর করে অফিসের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভেঙে মাটিতে ফেলে দেয়ার অভিযোগ করেছেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম। তিনি অভিযোগ করেন আনোয়ার হোসেন আশরাফ বাজিতপুরে চিহ্নিত মাদকসেবি, খুনি, ধর্ষনকারীদের নিয়ে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরী করেছে যারা বাজিতপুরের পৌরসভার মানুষকে জিম্মি অবস্থায় রেখে শোষণ করছে। তাদের অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) যে আকস্মিক নির্মম ও অমানবিক ঘটনা ঘটিয়েছে তাতে আমি আমার পরিবার আতঙ্কিত। একজন রাজনৈতিক নেতা হয়ে স্বাভাবিক ভাবে রাজনৈতিক কর্মকান্ড করতে পারবো না এটা কি মেনে নেওয়া যায়?

শুক্রবার (১১ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে জেলা শহরের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ও ১ নং ওয়ার্ড পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইজুলের অফিস, দোকান, গ্যারেজ ভাঙচুর এবং লুটপাটের প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি।

উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, এই সন্ত্রাসী মেয়র ও তার ভাই স্থানীয় এমপি আফজাল হোসেন বাজিতপুরে একটি ভিতীকর পরিস্থিতি তৈরী করে রেখেছে। গত রমজান মাসে এই সন্ত্রাসী বাহিনীই জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট শেখ নুরুন্নবী বাদল সাহেবের বাসায় গুলি করে। ওই মাসেই পৌর সভার ১ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইজুলের গ্যারেজ এবং দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে। গতকালও আমার বাড়ীতে হামলার পর পর ফাইজুলের সাথে একই ঘটনা ঘটায় এবং ফাইজুলের স্ত্রীর গায়ে হাত তুলে। গত রমজানে এই সন্ত্রসী বাহিনীই উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক জুবায়ের আহম্মেদের বাড়ীতে হামলা করে মটর সাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে উপজেলা ছাত্রলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মিজবা উদ্দিনের বাড়ীতে গিয়ে হুমকি দেয়। তারা চায় শুধু তারাই থাকবে বাজিতপুরে আর কেউ থাকবে না! এই সন্ত্রাসী মেয়র আনোয়ার হোসেন আশরাফের বাহিনী বাবুল, সাগর, দিনু, জাবেদ, শরিফ গংদের হাত থেকে বাজিতপুরকে রক্ষার দাবি জানাই। আমরা এই সকল ঘটনার সঠিক বিচার চাই।

অভিযুক্ত পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আশরাফ বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম তার বাড়ির সামনে সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় সরকারি জমি দখল করে দোকান ও কেন্দ্রীয় যুব লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবু সুব্রত পাল ব্যক্তিগত অফিস নির্মাণ করতে চায়। এতে স্থানীয় লোকজন ও প্রশাসন বাধা দেয়। আমার ভাই এমপি। তিনি আবারও এমপি প্রার্থী। তাকে কীভাবে প্রতিহত করা যায় সেই জন্য এসব অভিযোগ আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ নুরুন্নবী বাদল, বাংলাদেশ যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, নিকলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কারার শাহরিয়ার আহমেদ তুলিপ, বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজহারুল হক নাহিদ, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান উজ্জ্বল, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য শেখ রফিকুন্নবী সাথী, বাজিতপুর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাদিম আহমেদ, বাজিতপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক নজরুল ইসলাম খোকন প্রমুখ।

Comments

comments