ঢাকাশনিবার , ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  1. অন্যান্য
  2. দেশজুড়ে
  3. পজিটিভ বাংলাদেশ
  4. ফটো গ্যালারি
  5. ফিচার
  6. বিনোদন
  7. ভিডিও গ্যালারি
  8. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিএনপিকে যারা অত্যাচার করেছে তারাই শেষ হয়ে গেছে: মির্জা ফখরুল

প্রতিবেদক
Kolom 24
সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫ ১০:২৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির পক্ষে সবাই দাঁড়ান। আর এই যে কথাবার্তা বলে অনেকেই বলে, ব্যাক্তি বলে, রাজনৈতিক দলগুলো বলে, যাদের কালকে জন্ম হয়েছে তাঁরাও বলে, যারা ১৯৭১ সালে ভিন্ন অবস্থানে ছিলো তাঁরাও বলে। তাদের জানা উচিত বিএনপি হচ্ছে সেই দল যেই দল ফিনিক্স পাখির মতো। অনেকবার চেষ্টা করা হয়েছে বিএনপিকে ধ্বংস করে দেয়ার, বিএনপিকে ভেঙে দেয়ার কিন্তু বিএনপিকে কেউ ভাঙতে পারেনি। যারা অত্যাচার করেছে, নির্যাতন করেছে গুম করেছে, হত্যা করেছে তাঁরাই শেষ হয়ে গেছে। তাঁরাই পালিয়ে গেছে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপির সম্মেলন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে একটা নতুন অস্তিত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা করেছেন। যিনি বাংলাদেশকে আধুনিক বাংলাদেশে পরিণত করার জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। আজকের সম্মেলন কোনো সাধারণ সম্মেলন নয়। ১৫ বছর পরে, ফ্যাসিস্টের হাতে নির্যাতনের পরে, গণতন্ত্রের ধ্বংসের পরে, আমরা যখন ছাত্রজনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, বিএনপির অজস্র ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা যখন নতুন একটা সুযোগ সৃষ্টি করতে পেরেছি। সেই সুযোগকে কাজে লাগানোর সম্মেলন। একটা কথা মনে রাখতে হবে অনেক রক্তের বিনিময়ে, অনেক প্রাণের বিনিময়ে, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজকে এই সুযোগ পেয়েছি।

তিনি বলেন, বিএনপির জন্ম হয়েছিল ১৯৭১ সালে। আমরা যখন স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম। আমাদের লক্ষ লক্ষ ভাই সেদিন শহীদ হয়ে গিয়েছিল স্বাধীনতার জন্যে। আমাদের অসংখ্য মা-বোনের শ্লীলতাহানি হয়েছিল। সেই সময়ে স্বপ্ন ছিলো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ নির্মাণ করার। স্বপ্ন ছিলো একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণ করার। স্বপ্ন ছিলো একটি আধুনিক বাংলাদেশ নির্মাণ করার। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য শহীদ জিয়া এই দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যোগ্য নেতৃত্বে উনি যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিলেন তখন অতি অল্প সময়ে মধ্যে দেশকে বদলে দিয়েছিলেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজকে আমরা যে গণতন্ত্রের কথা আমরা বলছি, অনেকে বলছে। সেই গণতন্ত্রকে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে, বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রে নিয়ে এসেছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। সেদিন তিনি নির্বাচন দিয়েছিলেন। জনগণের ভোটের মাধ্যমে জনগণের পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

মহাসচিব বলেন, শহীদ জিয়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন। এর আগে শেখ মুজিবুর রহমান সমস্ত পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। মাত্র ৪টি পত্রিকা চালু রেখেছিলেন। শহীদ জিয়া বাংলাদেশকে ১৯ দফা দিয়েছিলেন। যিনি ১৯ দফা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তাঁর সময়ে কৃষিতে বিপ্লব নিয়ে এসেছিলেন। খাল কাটা কর্মসূচি, উচ্চ ফলনশীল বীজ এবং মাইলের পর মাইল হেঁটে পথে প্রান্তরে ঘুরেছিলেন আরও বেশি করে ফসল ফলানোর জন্য।

আজকে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। মিথ্যা অপবাদ দেয়া হচ্ছে। অপপ্রচার করা হচ্ছে বিএনপির বিরুদ্ধে। গত ৪৭ বছর যা কিছু ভালো তার সবকিছু দিয়েছে এই বিএনপি। যখন শাহাদাত বরন করলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এই বাংলাদেশের শত্রুরা হত্যা করলো। তখন সবাই ভেবেছিলো বাংলাদেশ গেলো, বিএনপি গেলো। চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে শহীদ জিয়াকে হত্যা করা হয়েছিলো। কিন্তু সেই পতাকা, স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্বের পতাকা, গণতন্ত্রের পতাকা হাতে তুলে নিলেন তাঁরই সহধর্মিণী যিনি কোনোদিন রাজনীতি করেনি। তিনি পতাকা তুলে নিয়েই সারা বাংলাদেশে চারণ কবির মতো গণতন্ত্রের গান গাইতে শুরু করলেন। আর সেই গণতন্ত্রের গানেই ৯ বছর স্বৈরাচার হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের সাথে লড়াই করেছেন, রাজপথে সংগ্রাম করেছেন। সেই মহীয়সী নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনি বাংলাদেশকে বদলে দিতে শুরু করলেন। উনি যখন রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আসলেন উৎপাদন, উন্নয়নের হার এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তখন বাংলাদেশকে বলা হতো ইর্মাজিং টাইগার। তখন বাংলাদেশে নতুন নতুন বিনিয়োগ হচ্ছিলো। মানুষ শান্তিতে বসবাস করছিলো।

ক্লাস ১২ পর্যন্ত মেয়েদের জন্য বিনা বেতনে পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছিলেন। বিভিন্ন চাকরিতে পুলিশে, আনসারে, সব জায়গায় মেয়েদের চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন৷ আমরা সেই দল যার উড়ে এসে জুড়ে বসেনি। লড়াই করে সংগ্রাম করে এই বাংলাদেশে এসেছি। আমাদের নেতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এই দেশকে স্বাধীন করেছেন। ওইটা আমাদের গর্ব ১৯৭১ সাল। আমাদের নেতা গণতন্ত্র দিয়েছেন আমাদের। আমাদের নেত্রী আমাদের সামনের দিকে থেকে পার্লামেন্টে নিয়ে গেছেন। আর আমাদের নেতাকে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করে, শারীরিক মানসিকভাবে নির্যাতন করে ওয়ান ইলেভেনে নিয়ে এসে তাকে নির্বাসিত করেছিলো। সেই নেতা আবার গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখিয়ে লড়াই করেছেন। আজকে যে সুযোগ এসেছে একটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব আমাদের নেতা তারেক রহমানকে ফিরিয়ে এনে বুঝিয়ে দেয়ার।

জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে প্রায় ৯ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে জেলা বিএনপির সম্মেলন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পরিচালনা করেছেন সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, এমরান সালেহ প্রিন্স, কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেছ আলী মামুন, আবু ওয়াহাব আকন্দ, সদস্য লায়লা বেগম, শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল।

Comments

comments