মুক্তিযুদ্ধকালীন রাজাকারদের তালিকা তৈরির বিধান রেখে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন-২০২০’এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। পাশাপাশি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের আইনের আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে নতুন আইনে। নতুন আইনের ফলে ২০০২ সালে তৈরি হওয়া আইনটি বাতিল হয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ (সোমবার) ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বৈঠকের বিস্তারিত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সচিব বলেন, সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় করোনার দ্বিতীয় ধাপ মোকাবেলায় সবার মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। করোনা অতিমারী রোধে তিনস্তরের মাস্ক পরার তাগিদও দেন তিনি।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরো জানান, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ২০২০ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়ার ফলে ২০০২ সালের এ সংক্রান্ত আইনটি বাতিল হবে। নতুন আইন অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা দেশের বিরোধিতা করেছিল এবং বিরোধিতাকারীদের সহায়তা করেছিল তাদের তালিকা করে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। কেউ মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সনদ নিলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Comments
comments