এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, আপনাদের এই জমায়েত আমাদেরকে বিশ্বাস করায় যারা এখন মামলা বাণিজ্য করছে যারা এখন চাঁদাবাজি করছে তাদের দিন ফুরিয়ে আসছে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি, আমাদের এই তরুণ প্রজন্ম যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারে তাহলে দুর্নীতিবাজরা পালানোর জায়গা পাবে না।
শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে জেলা শহরের পুরান থানায় অনুষ্ঠিত পথসভায় এনসিপির এই নেতা এসব কথা বলেন। ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই পথসভা করে এনসিপি।
তিনি বলেন, আমরা যদি নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই তাহলে প্রথমত আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এনসিপির ব্যানারে এনসিপিকে সাথে নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান থাকতে হবে। নিজের বাবাও যদি দুর্নীতি করেন তাকেও ছাড় দেয়া যাবে না। বাবাকে প্রশ্ন করতে হবে ৩০ হাজার টাকার বেতন দিয়ে কিভাবে ৪০ হাজার টাকার বাসায় থাকেন। নিজের ঘর থেকে শুদ্ধি অভিযান শুরু করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এনসিপির কর্মীদের অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে আলাদা হতে হবে। আপনারা নিজেরাও দুর্নীতি করতে পারবেন না। কেউ দুর্নীতি করলে সেটাকেও প্রতিহত করতে হবে। নিজেদেরও টেন্ডারবাজি করা যাবে না। কেউ করলে সেটাকেও প্রতিহত করতে হবে। সাংগঠনিকভাবে আমাদের সুসংহত হতে হবে।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা জানি একটা এলাকায় অনেক গ্রুপিং থাকে। অনেক ব্যাক্তি রাজনীতি থাকে। সেগুলোর ঊর্ধ্বে উঠে আজকের মতো সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এনসিপির জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা আপনাদের কথা দিচ্ছি এনসিপির নেতাকর্মীদের জন্যে প্রয়োজন হলে আমাদের জীবন দিয়ে দিতে প্রস্তুত। আমাদের কর্মীদের জীবন, আমাদের কর্মীদের রক্ত, আমাদের কর্মীদের ঘামের মধ্য দিয়ে আমরা নেতা হয়েছি। আমাদের কর্মীদের একফোঁটা ঘামের দাম দিতে আমাদের যদি জীবন দিতে হয় আমরা সে জীবন দিব।
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, আমরা খবর পেয়েছি অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে এনসিপির নেতাকর্মীদের হুমকি দেয়া হয়। আমরা আপনাদের বলছি আপনারা ধৈর্য ধরুন, সংগঠনকে সুসংহত করুন। উপজেলা পর্যায়ে, ইউনিয়ন পর্যায়ে, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আগামী একমাসের মধ্যে আমাদের কমিটিগুলো দিন। এলাকায় যত সুনাগরিক আছে তাদের হাতে পায়ে ধরে এনসিপিতে নিয়ে আসুন। আমরা ভালো মানুষদের নিয়ে দল করতে চাই। একশ পয়সাওয়ালা চাঁদাবাজ থেকে একজন শিক্ষিত ভালো মানুষ দিয়ে দল করবো আমরা। আমাদের লক্ষ লক্ষ কর্মীর প্রয়োজন নাই। আমাদের লক্ষ লক্ষ দুর্নীতিবাজের প্রয়োজন নাই। আমাদের ১০টা ভালো মানুষ নিয়ে হলেও আমরা রাজপথে আমাদের লড়াই অব্যাহত রাখবো।
তিনি বলেন, আমাদের এনসিপিকে সুসংহত করতে হবে। আগামীর বাংলাদেশের জন্য, আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে আমি আপনাদের পায়ে ধরে বলবো নিজের পয়সা খরচ করে খেয়ে না খেয়ে এনসিপির ব্যানারকে আপনারা সুসংহত করুন।
পথসভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীনসহ জেলা-উপজেলার নেতা-কর্মীরা।
Comments
comments