কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় যুবদল নেতার বিরুদ্ধে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যাক্তির ট্রাক্টর ভাড়া নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে। এমনকি ট্রাক্টরটি ফেরত চাইলে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় ওই প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিকে। এ ঘটনায় গত দুই মাস আগে পাকুন্দিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের গৌরাঙ্গবাজারে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন শারীরিক প্রতিবন্ধী মজিবুর রহমান নজরুল। ভুক্তভোগী মজিবুর রহমান নজরুল পাকুন্দিয়া উপজেলার পৌর এলাকার ৯নং ওয়ার্ডের মৃত হাজী সাফির উদ্দিনের ছেলে। অন্যদিকে অভিযুক্ত যুবদল নেতা নুরুল ইসলাম বুলবুল পাকুন্দিয়া উপজেলার চণ্ডিপাশা গ্রামের মৃত ইছমাইলের ছেলে। নুরুল ইসলাম বুলবুল জেলা যুবদলের সদস্য।
ভুক্তভোগী শারীরিক প্রতিবন্ধী মজিবুর রহমান নজরুল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যুবদল নেতা বুলবুল রাস্তা নির্মাণের কাজের কথা বলে আমার ট্রাক্টরটি ভাড়া নিতে চায়। ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর পাকুন্দিয়া বাজার বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক মজলিশের মধ্যস্থতায় বুলবুল আমার ট্রাক্টর গাড়িটি ৫০ হাজার টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে এক মাসের জন্য ভাড়া নেয়।
তিনি বলেন, ছয় মাস শেষ হবার পরে আমি যুবদল নেতা বুলবুলের কাছে গিয়ে বলি আমার ট্রাক্টর আর ভাড়া বুঝিয়ে দেন। সে আমাকে বসতে বলে। আমি বসে থাকার সময় ৮-১০ ছেলে নিয়ে এসে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলতেছে এই গাড়িতো আমার। ভাড়া কিসের? গাড়িতো আমার। বেশি কথা বললে তোরে গুলি কইরা ফালাইয়া দিমু। তারপর আমি পাকুন্দিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করি। থানা থেকে আজ না কাল করতে করতে দুইমাস আমাকে হয়রানি করছে।
তিনি আরও বলেন, ভাড়ার প্রায় ১৫ লাখ টাকাসহ আমি আমার গাড়ি ফেরত চাই। আপনাদের মাধ্যমে আমি বর্তমান সরকার ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে এর সঠিক বিচার চাই।
অভিযুক্ত যুবদল নেতা নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, নজরুলের কোনো ট্রাক্টর আমি নেইনি। বরং আমার ট্রাক্টরটা ওর ইটখোলায় নিয়ে লুকিয়ে ফেলেছিলো। পরে পুলিশ দিয়ে ট্রাক্টরটি উদ্ধার করে আনি। এখন সে আমার পাওনা না দেওয়ার জন্য ট্রাক্টর ভাড়া দেওয়ার মিথ্যা নাটক সাজাচ্ছে।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমার জানা নেই।
Comments
comments