ঢাকারবিবার , ২৭ জুলাই ২০২৫
  1. অন্যান্য
  2. দেশজুড়ে
  3. পজিটিভ বাংলাদেশ
  4. ফটো গ্যালারি
  5. ফিচার
  6. ভিডিও গ্যালারি
  7. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

৫৪ বছরের দুর্নীতি পরায়ণ, মাফিয়াতান্ত্রিক লুটেরা রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটাবে এনসিপি- নাহিদ

প্রতিবেদক
Kolom 24
জুলাই ২৭, ২০২৫ ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণ অভ্যুত্থানের ১ বছর পরেও মানুষের অধিকার আদায় হয়নি। গণ অভ্যুত্থানের ১ বছর পরেও সমাজে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য তৈরি হয়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে চিরতরে দুর্নীতিকে বিলুপ্ত করা যায়নি। আমরা বলেছিলাম গন অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে পুরনো ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা রয়েছে, শেখ হাসিনার সংবিধানসহ শেখ হাসিনার যে সরকার ব্যবস্থা ছিলো এই সকল নিয়ম পাল্টিয়ে নতুন রাষ্ট্র, নতুন সরকার তৈরি করতে হবে। কিন্তু আফসোসের বিষয় আমরা নতুন সরকার পেলেও নতুন দেশ এখনো পাইনি। কিন্তু জাতীয় নাগরিক পার্টি আপনাদের কাছে ওয়াদাবদ্ধ, গণ অভ্যুত্থানের শহীদদের কাছে ওয়াদাবদ্ধ নতুন দেশ গড়া না পর্যন্ত আমাদের এই লড়াই চলমান থাকবে।

শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে জেলা শহরের পুরান থানায় অনুষ্ঠিত পথসভায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন। ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই পথসভা করে এনসিপি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা জানি কিশোরগঞ্জ হাওর অধ্যুষিত এলাকা। হাওর এলাকার মানুষ সংগ্রাম করে। তাদের কস্ট করে জীবনযাপন করতে হয়। আমরা জানি এই কিশোরগঞ্জে সুপেয় পানির সংকট হয়েছে। এই কিশোরগঞ্জে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সার সংকট তৈরি করা হয়েছে। কৃষকেরা তাদের কৃষি কাজ ঠিক মতো করতে পারছে না। তারা ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। সেই হাওর এলাকা থেকে একটা শিশু বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। চিকিৎসার জন্য সুব্যবস্থা পায় না।

এনসিপির আহবায়ক বলেন, আমরা যেমন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম যেখানে প্রত্যেকটা মানুষের কাছে নাগরিক সুবিধা পৌঁছাবে। প্রত্যেকটা মানুষ নাগরিকের মর্যাদা পাবে। এই কিশোরগঞ্জের মানুষ রাষ্ট্রপতি পেয়েছে কিন্তু তার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের অধিকার পায়নি। এই ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রপতি আপনাদের বাংলাদেশেকে আমাদের বাংলাদেশকে শেখ হাসিনার কাছে তুলে দিয়েছিলো। মানুষের মানবাধিকার, মানুষের গণতন্ত্রকে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করে ছিলো। এই কিশোরগঞ্জ থেকেই সেই ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে গণ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, হাওর এলাকায় এমনকি সদর উপজেলাতে স্কুল আছে কিন্তু শিক্ষক নাই। হাসপাতাল আছে কিন্তু ডাক্তার নাই। যুব সমাজ আছে কিন্তু কর্মসংস্থান নাই। অনেক বাজেট আছে কিন্তু রাস্তা নাই। রাষ্ট্রপতি আছে কিন্তু মানুষের উন্নয়ন নাই। আমরা এই কিশোরগঞ্জের চেহারা পাল্টাইয়া দিতে চাই। আমরা এমন কিশোরগঞ্জ চাই যেখানে হাওর এলাকার একটা ছোট শিশুও বিদ্যালয়ে যেতে পারবে। যেখানে এলাকার মানুষ স্বাস্থ্যের সুযোগ সুবিধা পাবে। যেখানে কিশোরগঞ্জের যুবসমাজ কর্মসংস্থান পাবে। যেখানে কিশোরগঞ্জের মানুষ যাতায়াত ব্যবস্থার সুব্যবস্থা পাবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণ অভ্যুত্থান হয়েছিলো তরুণদের নেতৃত্বে। এই তরুণদের ওপর আস্থা রেখে বাংলাদেশের মানুষ নেমে এসেছিলো। আমরা আবারও বলছি এই তরুণদের ওপর আস্থা রেখে আপনারা জাতীয় নাগরিক পার্টিতে যোগদান করুন। জাতীয় নাগরিক পার্টি আপনাদের নতুন বাংলাদেশ উপহার দিবে। জাতীয় নাগরিক পার্টি বাংলাদেশের ৫৪ বছরের যে দুর্নীতি পরায়ণ রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যেই মাফিয়া তান্ত্রিক লুটেরা রাষ্ট্র ব্যবস্থা সেই রাষ্ট্রের পরিবর্তন ঘটাবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা বলেছি তরুণেরা রাষ্ট্রের চালিকাশক্তি, দেশের চালিকাশক্তি। এই তরুণদেরকে যদি এই গণ অভ্যুত্থানের পরও কাজে লাগাতে না পারি, এই তারুণ্যের শক্তিকে যদি দেশ গঠনে কাজে লাগানো না যায় তবে বাংলাদেশকে আর কখনোই গড়ে তোলা যাবে না। আমরা তারুণ্যের সেই শক্তিতে বিশ্বাসী। আমরা কিশোরগঞ্জের শক্তিতে বিশ্বাসী। আমরা বিশ্বাস করি কিশোরগঞ্জের মাটি এনসিপির শক্তিশালী ঘাটিতে পরিণত হবে।

এনসিপির আহবায়ক আরও বলেন, সংস্কার, বিচার এবং নতুন সংবিধানের দাবিতে আমরা রাজপথে নেমেছি। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের দোসরেরা এখনো বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে আছে। এই কিশোরগঞ্জের অনেক মামলার আসামিদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। আমাদের শহীদ পরিবারের সদস্যদের, আহত ভাইদের এখনো আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমরা দেখতে চাই এসকল সন্ত্রাসীদের কারা শেল্টার দিচ্ছে। যারা শেল্টার দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীনসহ জেলা-উপজেলার নেতা-কর্মীরা।

Comments

comments