হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নে ৩ সন্তানের জননীকে রাতভর আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে একই এলাকার ৫ সন্তানের জনক তাজুল ইসলাম (৫৫) কে আটক করেছে আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশ৷ আটক তাজুল ইসলাম জলসুখার শঙ্খমহল গ্রামের মৃত আলী হোসেনের পুত্র ৷
স্হানীয় ও অভিযোগ সুত্রে জানাযায় গত ২৩ অক্টোবর(শুক্রবার) ঐ নারী গভীর রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হলে পুর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা তাজুল ইসলাম ওই নারীর মুখে গামছা বেঁধে জোর পুর্বক তুলে নিয়ে স্হানীয় কেজিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম প্বার্শে র দেয়াল সংলগ্ন একটি স্হানে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে রাতভর জোর পুর্বক ধর্ষণ করে।
পরদিন সকালে তাজুল ইসলাম ওই মহিলাকে বিভিন্ন ভয় ভীতি প্রদর্শন করে মহিলার পিত্রালয় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার শ্যামারচর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে পাঠিয়ে দেয় ৷
ঐ দিন (শনিবার) সকাল থেকে মহিলার স্বামী বিভিন্ন স্হানে খেঁজাখুজির পর এক সময় শশুর বাড়ীতে খোঁজ নিয়ে স্তীর সন্ধান পায় ৷ পরে ওই মহিলার স্বামী মহিলাকে আনতে মহিলার পিত্রালয়ে গেলে ওই মহিলা স্বামীর কাছে নির্যাতনের বিস্তারিত ঘঠনা খুলে বলেন ৷
সোমবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে আজমিরীগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ৷ এর প্রেক্ষিতে ঐ দিন (সোমবার) রাত আনুমানিক ১টায় আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মেশারফ হেসেন তরফদারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ধর্ষক তাজুল ইসলামকে জলসুখা থেকে আটক করেন ৷
এবিষয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোশারফ হেসেন তরফদার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন -ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন ৷ আমরা আসামীকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে প্রেরণ করেছি এবং ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছি ৷
Comments
comments