ঢাকাশনিবার , ৩১ অক্টোবর ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিশিষ্ট সমাজ সেবক রাজনীতিবীদ সাবেক তুখোড় ছাত্রনেতা মোঃ মাহিদুর রহমান মাসুদের জন্মদিন

প্রতিবেদক
Kolom 24
অক্টোবর ৩১, ২০২০ ৬:৩৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঝিনাইদহের শৈলকূপার বিশিষ্ট সমাজ সেবক রাজনীতিবীদ সাবেক তুখোড় ছাত্রনেতা মোঃ মাহিদুর রহমান মাসুদের জন্মদিন আজ। ১৯৬৫ সালের ৩১ শে অক্টোবর মোঃ মাহিদুর রহমান মাসুদ শৈলকুপা পৌর এলাকার উত্তর পাড়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আতিয়ার রহমান মাস্টার এবং মাতার নাম মোছাঃ শাহেরা খাতুন। তার দাদার বাবা প্রয়াত মাদু মন্ডল শৈলকুপা মৌজায় অর্ধ শতাধিক একর ব্যক্তিগত জমির মালিকানাধীন ছিলেন এবং অধিক সম্পদের অধিকারি ছিলেন। তত্বকালীন সময় থেকে শৈলকুপার অত্র অঞ্চলে তাদের পরিবারের আধিপত্য ছিলো। উল্লেখ্য তার দাদার পিতা মাদু মন্ডল শৈলকুপার হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যেমণি হয়ে ছিলেন এবং তার দাদা মোবারক মন্ডল অত্র এলাকার মাতবর এবং ধার্মিক ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত ছিলেন। অত্র এলাকার মসজিদ নির্মাণ থেকে শুরু করে ধর্মীয় ও সামাজসেবামুলক কাজ তার দাদা – নানার হাত ধরে শুরু হয় এবং তার এই ধারাবাহিকতায় তার পিতা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান মাস্টার জীবদ্দশায় বর্ণাঢ্য সম্মাননা অর্জন করেন। তার পিতা একজন স্বনামধন্য ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া শিক্ষক এবং বিশিষ্ট রাজনীতিবীদ হিসেবে উপজেলা জুড়ে তাঁর খ্যাতি ছিল। তার পিতা ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনী প্রচারণার মাধ্যমে রাজনিতিতে প্রবেশ করেন এবং ১৯৫৪-৭১ সাল পর্যন্ত সকল আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভুমিকা রাখেন। তার পিতা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন এবং সাবেক এম পি মরহুম ডাঃ কাজী খাদেমুল ইসলামের ঘনিষ্ট সহচর হিসেবে শৈলকুপার বিভিন্ন সামাজিক কাজে তাঁর পিতার অগ্রণী ভূমিকা ছিল এবং তার ফলশ্রুতিতেই কয়েকবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে গিয়ে রাজনৈতিক পরামর্শ গ্রহণ ও দেখা করা সুযোগ হয়েছিল।

জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রথম যখন শৈলকুপা সাংগঠনিক কাজে আসেন তখন তার পিতা মোঃ আতিয়ার রহমান মাস্টার শৈলকূপা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে শেখ হাসিনার সাথে মঞ্চে থেকে বক্তিতা প্রদান করেন এবং সভা পরিচালনা করেন। বর্তমান এম,পি আব্দুল হাই সাহেবকে প্রথম শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কোন এক বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দাওয়াত দিয়ে নিয়াসেন এবং ঐ অনুষ্ঠান থেকেই প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক ভাবে তার নির্বাচনি প্রচারণা শুরু হয়। তার পিতা ১৯৭৪ সালে শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং এর আগে কাতলাগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কিছুদিন একই পদে শিক্ষকতা করেন।

শৈলকুপার বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে তাঁর পিতার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। শৈলকুপা বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তার পিতার অগ্রণী ভূমিকা ছিল এবং এ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ছিলেন দীর্ঘ ১৭ বছর। তার পিতা ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২৬ বছর শৈলকুপা উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি ছিলেন এবং সাবেক শৈলকূপা ৪ নং ইউনিয়ন (বর্তমান পৌরসভা) পরিষদের প্রথম বিনাপ্রতিদন্ধিতায় নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন এবং একই শাখার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তাঁর পিতা নিজ এলাকায় আতিয়ার রহমান পাঠাগার নামে একটি পাঠাগার ও উত্তর পাড়া মডেল একাডেমি নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তাঁর পিতার স্মৃতিকে ধরে রাখতে শৈলকুপা নাগরিক কমিটি একটি স্মরণসভা ও স্মরণিকা প্রকাশ করেন।

বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ মাহিদুর রহমান মাসুদ সাতগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পরালেখা শেষ করে শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয় এবং ১৯৭৯ সালে স্কুল জীবন থেকেই বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ের মধ্যে দিয়ে ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে পড়ে। তারপর ১৯৮৩ সালে এস,এস,সি পাস করে ১৯৮৩-৮৪ সালে ঝিনাইদহ কে,সি কলেজে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে জনাব আব্দুল হাই (বর্তমান ঝিনাইদহ -১ আসনের মাননীয় সাংসদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জনাব আব্দুল হাই) এর বলিষ্ঠ নেত্রীত্বে এরশাদ বিরধী আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনীতিতে সক্রিয় হোন। এবং সকল আন্দোলন সংগ্রামে নিজেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিয়োজিত করেন। এরপর রাজনৈতিক পেক্ষাপটে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হোন এবং যশোর ঝিকরগাছা থেকে এইস, এস, সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হোন। পরবর্তীতে ঠিকাদারি ব্যবসায় নিজেকে নিয়োজিত করেন তারপর দীর্ঘ বিরতি নিয়ে দুঃখী মাহমুদ কলেজে স্নাতক ভর্তি হয়। এরশাদ বিরধী আন্দোলনের পর বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তখন থেকে এখন পর্যন্ত ঝিনাইদহ – শৈলকুপার প্রতিটা আন্দোলন সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। ছাত্র রাজনীতি করাকালে শৈলকুপা ছাত্রলীগ – ছাত্রশিবির এর সংঘর্ষে ছাত্রলীগের পক্ষে ছাত্র শিবির কে পরাজিত করতে সক্ষমতা অর্জন করেন। পরবর্তিতে ৯০ এর দশকে শৈলকুপা বিএনপি জামাতের বিরুদ্ধে তার নিজেস্ব বিশেষ বাহিনী দ্বারা নেত্রীত্ব দিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলেন এবং পরবর্তীতে বিএনপি পুনঃরায় ক্ষমতায় এলে ২০০০ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইন এ ৩৭ দিনের জেল প্রদান করেন এবং রিমান্ডে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে।

উল্লেখ্য সাবেক এম,পি প্রয়াত ডাঃ কাজী খাদেমুল ইসলামের ছোট ভাই এবং তার পিতা এবং শশুর এর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ত্বতকালীন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের যুগ্ন-সচিব প্রয়াত কাজী শামসুজ্জামান (ফুল কাজী) তার নিবিড় তত্ত্ববধানে জেল থেকে ছাড়া পান এবং শর্তমতে তারপর তিনি ঢাকা চলে যান। তারপর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ শৈলকুপা উপজেলা শাখায় যোগদান করেন, (তখন নাসির খান থানা যুবলীগের আহব্বায়ক ছিলেন)। থানা যুবলীগের পরবর্তী সম্মেলনে বন্ধুবর স,ম রানাউজ্জামান বাদশাহর স্বপক্ষে নির্বাচনে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার মধ্যে দিয়ে জয়লাভ করেন এবং ঐ কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি হোন এবং ২০০৪ সালে আওয়ামীলীগ দলকে সুসংগঠিত করতে শৈলকুপা পৌরসভায় ৪ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হোন। উল্লেখ্য তত্বকালীন সময় একমাত্র তিনি কাউন্সিলর এবং কাজী আশরাফুল আযম মেয়র পদে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনিত প্রার্থী ছিল এবং ততকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ বিরধী দলে থাকায় দলটিতে অর্থনৈতিক ভাবে দেখভাল করার কেওছিলা ঠিক ওই মুহুর্তে তিনি ঢাকা থেকে চাকরি করে অর্থ উপার্জন করে তখনকার ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতা কর্মীদের নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে সহযোগিতা করেন। যেটা এখন পর্যন্ত বিদ্যমান রয়েছে ১/১১ সময় শৈলকুপার রাজপথের মিছিল মিটিংয়ে বলিষ্ঠ নেত্রীত্ব দিয়ে সংগঠনকে উজ্জীবিত করতে সহযোগিতা করেছে। কিন্তু এতো ত্যাগ তিতিক্ষার পর ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে কিছুদিন যাওয়ার পর দুর্নিতির সাথে আপোষ করতে নাপেরে ২০১০ সালে আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে জীবিকার জন্য চাকরিতে যোগাদান করেন এবং কিছুদিন চাকরি করার পর ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপির জামাতের সহিংসতা প্রতিরোধে পুনরায় চাকরি ছেড়ে চলে আসেন এবং প্রতিটা আন্দোলনে পরোক্ষভাবে নিয়োজিত ছিলেন। উল্লেখ্য ২০১৪ সালে আগের তুলনায় অনেক বেশি কর্মী সমর্থক দৃশ্যমান ছিলেন! তখন হয়তো এই দুঃসময়ের নিবেদিত সৈনিকগুলো না থাকলেও দলের কিছু আসেযায় না। যাইহোক, এই ত্যাগি নেতার জেষ্ঠ পুত্র মোঃ সাইমুম রহমান শাওন ছাত্র রাজনীতি শেষ করে, আওয়ামী যুবলীগ শৈলকুপা পৌর শাখার রাজনীতির সাথে পতোক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত এবং এম,পি পুত্র ব্যারিস্টারি অধ্যায়নরত তানভীর হাই জিসান এর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও এম,পি মহোদয়ের একনিষ্ঠ আস্থাভাজন। মোঃ মাহিদুর রহমান মাসুদ বর্তমান এম,পি জননেতা জনাব আব্দুল হাই সাহেবের ঘনিষ্ঠ স্নেহতুল্য ছোট ভাই হওয়া সত্ত্বেও তার ১৪ মাস মন্ত্রী থাকা কালীন সময়ে একবারের জন্যও কোনো প্রকার দতবির নিয়ে ততকালীন মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে যায়নি। তার এই বর্ণাঢ্য জীবন পর্যালোচনা করলে এটাই প্রমাণিত হয় যে, তিনি তার পিতার মতো সৎ, ত্যাগি এবং পরোপকারী ব্যক্তি। তিনি আসন্ন শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী! তার জন্মদিনে আগামীর জন্য অসংখ্য শুভকামনা, ভালোবাসা ও সাফল্য কামনা করছেন এলাকাবাসী।

Comments

comments