ঢাকারবিবার , ১৭ জানুয়ারি ২০২১
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ, কৃষক খামারিদের সচেতনতা

প্রতিবেদক
Kolom 24
জানুয়ারি ১৭, ২০২১ ১০:১১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সাম্প্রতিককালে দেশের সব জায়গায় গরুর এলএসডি আক্রান্ত হয়েছে। এলএসডি গরুর জন্য একটা ভয়ংকর ভাইরাস বাহীত চর্মরোগ যা খামারের ক্ষতির কারণ। এই রোগের গড় মৃত্যুহার আফ্রিকাতে ৪০%। মূলত আফ্রিকায় একাধিকবার মহামারী আকারে দেখা গেলেও আমাদের দেশে গরুতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব কখনো মহামারী আকারে দেখা যায় নাই। একটা খামারকে অর্থনৈতিকভাবে ধসিয়ে দেয়ার জন্য এফএমডি বা খুরা রোগের চেয়ে অনেক বেশি ভয়ংকর রোগ হিসেবে ধরা হয়।

এই ভয়ংকর রোগের হাত থেকে মুক্ত রাখার জন্য নকলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকতা প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ক্যাম্প করে খামারি দের সচেতনতা করা সহ ফ্রি ভেটেনারি মেডিক্যাল ক্যাম্পের মাধ্যমে লাম্পি,খোরা, তরকা রোগের ভেকসিন সহ কৃমি নাশক,ভিটামিন খামারিদের মাঝে বিতরন করেন।

তারই ধারাবাহিকতায় নকলা উপজেলায় ৫নং বানেশ্বদী ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে লিফলেট, মাইকের মাধ্যমে প্রচার করে ফ্রি ভেটেনারি মেডিক্যাল ক্যাম্প করে ২০০ গরু এবং ১০০ ছাগলকে ভেকসিন করা সহ কৃষকদের মাঝে বিনা মূল্যে কৃমিনাশক, ভিটামিন প্রদান করা হয়।

ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন ডা:মো আব্দুল আহাদ, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, নকলা,শেরপুর। আছাদুজ্জামান মন্জু, উপজেলা উপসহকারী প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তাআশরাফ আলী, উপসহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, জহুরুল ইসলাম, ফিল্ড ফেসিলেটেটর ফারুক মিয়া, তানভির হাছান তামিম, এনামুল ইসলাম (ভেক্সসিনেটর), ডাঃ মোঃ আব্দুল আহাদ বলেন, আবহমানকাল ধরে মানুষের বেকারত্ব দূরীকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, পুষ্টির চাহিদা পূরণ এবং নারীর ক্ষমতায়নে প্রাণিসম্পদ খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

হাঁস, মুরগি, কবুতর, গরু, ছাগল, ভেড়া পালন বর্তমানে আরও রূপান্তরিত ও পরিণত হয়ে আধুনিক খামারশিল্প হিসেবে বিস্তৃতি পেয়েছে।

বর্তমানে নকলায় হাজার হাজার যুবক-যুবতী রয়েছে। তাদের একটি অংশকে উৎসাহ, প্রণোদনা ও সামান্য কিছু মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রদান করে যদি বিপুল সম্ভাবনাময় প্রাণিসম্পদ খাতে সম্পৃক্ত করা যায় তাহলে মাংস, ডিম, দুধের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের চাহিদা পূরণ করে রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

বর্তমানে দেশে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয় ৫৫০ টাকায় এবং খাসির মাংস ৭৫০ টাকায়। উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে একদিকে যেমন মাংসের দাম কমিয়ে সাধারণ মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করা সম্ভব, তেমনি রপ্তানি করাও সম্ভব হবে। একটি সুস্থ ও মেধাবী জাতি গঠনে প্রাণিজ পুষ্টির কোনো বিকল্প নেই।

Comments

comments