আর মাত্র কয়েকঘন্টা বাদেই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ভোটযুদ্ধ। নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা গতকাল (সোমবার) মধ্যরাতে শেষ করা হয়েছে। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রচারণার শুরু থেকেই সংঘাত-সহিংসতার কারণে নির্বাচনকে ঘিরে রয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণে মাঠে থাকবে ১৪ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ৪১টি সাধারণ ও ১৪টি মহিলা ওয়ার্ডে ৫৫টি কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের দুই শতাধিক নেতা প্রার্থী হয়েছেন এবার। এদের বেশিরভাগই নামে স্বতন্ত্র প্রার্থী। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের হটিয়ে এদের অনেকেই জিতে আসতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ এলাকায় এদের বেশিরভাগেরই প্রভাব বেশ ভালো। তবে স্থানীয় প্রশাসন অনেক এলাকাতেই অতি উৎসাহীর ভূমিকা নেওয়ায় নির্বাচন চরমভাবে বিতর্কিত ও সংঘাতপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই প্রথমবারের মত দলের ব্যানারে অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনে এবার কাউন্সিলর পদে সাধারণ ওয়ার্ডের মোট ১৩ জন সদ্য সাবেক কাউন্সিলর ‘অস্বাভাবিকভাবে’ শাসক দল আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত হন। ‘বিদ্রোহী’ তকমা নিয়ে এই ১৩ জনের মধ্যে ২ জন মারা গেছেন এবং একজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে ‘সরে’ দাঁড়িয়েছেন।এখনও সদর্পে টিকে আছেন ৯ বিদ্রোহী প্রার্থী।
৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী এই ওয়ার্ড থেকে ৩ বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ চৌধুরী। এই ওয়ার্ডে তাকে হেভিওয়েট প্রার্থীই বলা চলে। তবে এবারের নির্বাচনে তাকে অনেকটা অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আলমগীর।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলমের সমর্থন পাচ্ছেন তিনি। ছালেহ আহমদের বিরুদ্ধে আরও দুই বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলেও ছালেহ আহমদের লড়াইটা কঠিন করা ছাড়া বিশেষ কিছু করার সম্ভাবনা নেই তাদের। তবে এক্ষেত্রে এটি আশীর্বাদ হয়ে দাড়াতে পারে আলমগীরের জন্য।
ছালেহ আহমদের বিরুদ্ধে এখানে আলমগীর জিতে আসার সুযোগ তাই একেবারেই ফেলে দেয়া যাচ্ছে না। তবে এখানে জয়ের ভাল সম্ভাবনা রয়েছে বিএনপি প্রার্থী নুরুল আবছারেরও।
Comments
comments