ঢাকাশুক্রবার , ২১ আগস্ট ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হাজারো শিক্ষার্থীর ভালোবাসায় সিক্ত ইবির বিদায়ী উপাচার্য

প্রতিবেদক
Kolom 24
আগস্ট ২১, ২০২০ ১০:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!



ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ১২তম উপাচার্য পদের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী প্রথমবারের মতো মেয়াদকাল সফলভাবে  পূর্ণ করেছেন। যা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম। এর আগে ১১ জন উপাচার্য নানা কারণে তাদের মেয়াদকাল সম্পন্ন করতে পারেন নি।

ইবির ইতিহাসে সফলভাবে সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে মেয়াদ পূর্ণ করায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী হাজারো শিক্ষার্থীর ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী উপাচার্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কাছে আবারো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুনঃনিয়োগ দাবি করেছেন।



শুধু শিক্ষার্থীরাই নন চার বছর সফলভাবে দায়িত্ব পালন করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ দেশ ও বিদেশের অনেকেই তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

যখন দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য বিরোধী আন্দোলন যেখানে সাধারন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ভালোবাসায় আবদ্ধ করে পুনঃনিয়োগ দাবি করেছেন হাজার শিক্ষার্থী ।

ইবি উপাচার্যের বিদায়ী স্ট্যাটাসে শতশত মন্তব্য থেকে  পাওয়া এমনই কিছু মন্তব্য পাঠকদের সুবিধার্থে হুবহু তুলে ধরা হলঃ



আহসান আর শিমি নামে ইবির এক শিক্ষার্থী  লেখেনঃ ‘মৃতপ্রায় একটা প্রতিষ্ঠানকে আপনার ছোঁয়া দিয়ে যেভাবে প্রাণোচ্ছল করে তুলেছেন সেই কৃতজ্ঞতাকে যে ভাষাতেই প্রকাশ করা হোক না কেন কম পড়বে।আপনাকে ইবি পরিবারের সবাই এত ভালবাসে যে আপনি অবসর গ্রহণের আগ পর্যন্তও যদি  আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন ইবি পরিবারের সকলেই সেটা অত্যন্ত আনন্দের সাথে গ্রহণ করবে।আপনি দায়িত্ব গ্রহণের পর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে আর আমরা পেয়েছি স্বস্তি।কখনও চিন্তা করতে হয়নি ক্লাস,পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাবে না তো!

আমরা সবাই মনে প্রাণে চাই আপনি আবারও আমাদের বিশ্ববিদ্যালের উপাচার্য হিসাবে  দায়িত্ব গ্রহণ করুন।



আপনি উন্নয়নের যে ধারার প্রবর্তন করেছেন আমরা সবাই চাই সেই ধারা অব্যাহত থাকুক।’

জহির আহমেদ মন্তব্য করেনঃ ‘আপনি এখন পর্যন্ত ইবির ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ ভিসি, ইবির বর্তমান শিক্ষার্থীরা আপনাকে সারাজীবন মনে রাখবে,,, আপনার হাত ধরে ইবির যে পরিবর্তন শুরু হয়েছে, আশাকরি এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে, আপনি দেখিয়ে দিয়েছেন একজন প্রকৃত অভিভাবক পরিবারের জন্য কি কি করতে পারে,,,, আপনাকে পুনরায় বহাল রাখার জোর দাবি জানাচ্ছি,,, আপনি ছাড়া আপনার অসমাপ্ত কাজগুলো অর্থহীন & দূর্নীতিগ্রস্থ হবে,,,,,

শুভকামনা ও অভিনন্দন আপনার জন্য স্যার।’



রেজাউর রহমান শাহীন লেখেনঃ কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট গল্পের মত মত বলতে চাই, শেষ হয়েও শেষ হয় না। গতিই জীবনের ধর্ম। পন্ডিত চানক্যের কথায় বলতে হয়, শিক্ষককের ভাষা এবং শব্দ জানার জন্য অনুসারীরা উন্মুখ হয়ে থাকবে, আর শিক্ষকের দায়িত্ব অনুসারীদের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে চেতনা আর বিবেক বোধকে জাগ্রত করা। সেই কাজ  শেষ হবার নই। তাই মা- ভৈ এগিয়ে চলো বন্ধুবর ভিসি। তোমার প্রতি শুভকামনা রইল নিরন্তর পথচলা আর অগ্রগতি সাধিত হোক দেশ আর জাতির। জাতির জনকের স্বপ্ন পুরনে তোমার মত একজন জ্ঞান পিপাসু মানুষের খুব বেশী আজ প্রয়োজন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আদর্শ বাস্তবায়নে মানুষের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিও লেখনীর মাধ্যমে।

জয়তু শেখ হাসিনা

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মন্তব্যঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অথবা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার মত মহান একজন প্রকৃত শিক্ষককে খুব দরকার ছিলো। স্বাধীন বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ ভাইস চ্যান্সেলর যদি কেউ থেকে থাকেন তা আপনি। যোগ্য ব্যক্তি তার প্রাপ্য স্থান পেলে কি করে দেখাতে পারে তা দেশবাসী সহ বিশ্ববাসী দেখেছে।

আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা এবং মন থেকে প্রার্থনা রইলো।



নাজমুস সাদাত নামে একজন লেখেনঃ অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য আপনি চার বছর সাফল্যের সাথে  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অনেক নতুন নতুন মানে মনোনীত করেছেন এই জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং আপনাকে যারা খুব ভালোভাবে চেনে তারা  গর্ববোধ করে আপনার জন্য।  এই আওয়ামী লীগ সরকার আপনাকে অবশ্যই এর প্রতিদান দেবে।  আপনার মত  আপনার মত হারুন-উর-রশিদ আসকারী 100 বছরে একটাই   জন্মায়।  যারা আপনার সঙ্গে  সান্নিধ্যে চলে নি, তারা আপনাকে চিনবে না, আমি আপনাকে অনেক কাছ থেকে দেখেছি, আপনি অসাধারণ।  আপনার এই সরকারকে  সহযোগিতা করার দায়িত্ব আছে কিনা আমি জানিনা, তবে এই সরকারের আপনাকে খুবই জরুরী দরকার, আমিও অনেকেই মনে করেন যারা বাংলাদেশকে ভালোবাসে এবং বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ভালোবাসে।  এই মুহূর্তে আমাদের দেশের এবং আমাদের সরকারের  সৎ, শিক্ষিত, দক্ষ,পরিশ্রমী জনশক্তি দরকার।  আর সব থেকে বড় কথা আপনার   রক্তের মধ্যে মিশে আছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। ভালো থাকবেন সবসময়।



জাহাঙ্গীর কবির মন্তব্য করেনঃ স্যার, আপনি আমাদের (শিক্ষার্থীদের) মনে যে জায়গা করে নিয়েছেন তা চির অম্লান হয়ে থাকবে…আমার বিশ্বাস যদি এই সময়ে ক্যাম্পাস খোলা থাকত শিক্ষার্থীরা যে ভালবাসা দেখাত…যা বাংলাদেশে ইতিহাস হয়ে থাকত।

আপনার মত প্রশাসক, অভিভাবকই শিক্ষার্থীরা চাই।

আগামীর জন্য নিরন্তর ভালবাসা ও শুভ কামনা রইল, স্যার।

সনি হোসাইন নামে ইবির সাবেক এক শিক্ষার্থী লেখেনঃ সার আপনাকে আমরা ভিসি হিসাবে পাওয়ার আগেই চলে আসছি।খুব আফসোস হতো আমাদের। তাও মনে হতো যারা পেয়েছে তারা কতো লাকি।আপনি আজকে বিদায় নিচ্ছেন যারা আর আপনাকে পাবেনা তারা সত্যিই খুবই আনলাকি।আমার চোখে দেখা আমার মতো অনেক অনেকেরই সারাজীবনের  সবচেয়ে প্রিয় শিক্ষক আপনি। আমাদের এতো সীমিত জ্ঞান নিয়ে আপনার সাথে কথা বলতে আমাদের সংকোচ   হতো তাই আর যোগাযোগ  রাখা হয়নি। আপনি একদিন বলেছিলেন, ” অনেকেই হঠাৎ দেখা হলে আবেগে পায়ে সালাম করতে আসে, বলে সার আপনি আমাদের খুব প্রিয় …৷ কিন্তু আমার কাছে কথা হচ্ছে আমার সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে।”সেদিন আরও  বুজতে পেরেছিলাম আপনি আমাদের থেকেও অনেক বেশি মিস করেন আপনার ছাত্রছাত্রীদের।



আপনাকে অনুসরণ করে যেনো লাখ লাখ আপনার মত শিক্ষক জন্মে এদেশে। আল্লাহ আপনাকে অনেক অনেক ভালো রাখুন আর দুনিয়ার সব শিক্ষক  ছাত্রছাত্রীদের আদর্শ হয়ে থাকুন আপনি।

নবনীতা ফাইরুজ মন্তব্য করেনঃ স্যার, আপনি যখন কথা বলেন দম বন্ধ করে শুনতে ইচ্ছে করে,এতটা অনুপ্রেরণা আর কোথাও পাই না! বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে বলা আপনার কথা গুলো এখনো পথ দেখায়,সেই থেকেই আপনি আমাদের আদর্শ।সময় পেরিয়েছে আপনার প্রতি শ্রদ্ধাও বেড়েছে!



আমরা খুব করে চাইছি যাতে দ্বিতীয় মেয়াদে আপনাকে উপাচার্য হিসেবে পাই!খুব ভালো থাকবেন স্যার।

এমডি সুমনঃ যখন দায়িত্ব পেয়েছিলেন ভেবেছিলাম।কি আর করবেন! এই নুয়ে পড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য! দিন শেষে সবাই এক কাতারে থাকে। কিন্তু না! আমার ধারণা ভুল প্রমান করে আপনি দিন দিন প্রমাণ করেছেন  ইচ্ছে শক্তি, সততা,দেশপ্রেম থাকলেই  যেকোন জায়গায় পরিবর্তন আনা সম্ভব।  আমাদের রংপুরের কৃতি সন্তান আপনি। সত্যি গর্ব হয় স্যার!  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র, একজন সফল ভাইস  চ্যান্সেলর আপনি। আপনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যা করেছেন। সত্যি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে প্রিয় স্যার।আপনার অভাব ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পূরণ হবার নয়।আপনার সান্নিধ্যে না আসতে পারলেও দূর থেকে আপনার কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েছি। ইনশাআল্লাহ তা আমার জীবনের কাজে আসবে । শ্রদ্ধা, ভালবাসা, শুভকামনা প্রিয় স্যার।



ডেপুটি রেজিস্ট্রার শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপরেজিস্ট্রার ইসলাম নজরুল মন্তব্য করেনঃ আপনার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো- কর্মঘন্টা বাড়ানো। আরও অসংখ্য অর্জন রয়েছে। আর প্রধান ব্যাথ’তা হলো- কিছু শিক্ষক আপনাকে ব্যাবহার করে দূরনিতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। আগামী দিনে যদি আল্লাহ তায়ালার রহমতে পুনরায় দায়িত্ব ভার পান এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখার অনুরোধ রইল প্রিয় স্যার।

সজীব মাহমুদ লেখেনঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ‘আসকারী যুগ’ বা Golden Age নামে একটি যুগের/ সময়ের নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।

গর্বিত আপনার সরাসরি ছাত্র হিসেবে, গর্বিত আপনাকে ভিসি রুপে পেয়ে।

ইবির মরিচা পড়া রুপটাকে আপনি ঘষে আসল সোনার ঝলকানি সবার সামনে নিয়ে এসেছেন।

সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ আপনাকে যেন আর একটিবার ইবি পরিবার পায়,  ভিসি হিসেবে।

অসংখ্য অভিনন্দন স্যার।

আনোয়ার হোসেন নামে এক কলেজ শিক্ষক লেখেনঃ



স্যার, আপনি  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে যা দিয়ে গেছেন তা অবশ্যই অনুকরণীয় হয়ে থাকবে শুনেছি ভিসি হওয়ার পরেও আপনি যথারীতি ক্লাস নিয়েছেন যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বিরল দৃষ্টান্ত  You have a magical power to teach the students knocking at the right point. মনে হয় স্যার এখনও Macbeth,  Riders to the Sea,Long days journey into night, Mother Courage and her Children, Return of the Native  পড়াচ্ছেন।অত্যান্ত আগ্রহভরে শুনছি। কখন যে সময় শেষ হয়ে গেছে টের পাইনি।How time does fly! আপনি যেমন শিক্ষক হিসাবেও সফল তদ্রুপ ভিসি হিসাবেও সফল।সত্যি কথা বলতে কি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে বাংলাদেশ বা আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরার জন্য বা প্রতিনিধিত্ব করার মত কোন মুখপাত্র ছিলনা ডঃ হারুন অর রশীদ আসকারী বাদে। সরকার নিশ্চয় স্যারকে পূণরায় ভিসি হিসাবে  নিয়োগ দিবেন আমরা আশা করতেই পারি। স্যারের জন্য রইল সালাম এবং অনেক অনেক শুভকামনা।

ইবি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রাধক্ষ্য সেলিনা নাসরিন  লেখেনঃ স্যার, আপনি ইবিকে যা দিয়ে গেলেন সে ঋণ শোধ করবার নয়। আপনার এই অসামান্য কীর্তি মনে রাখবে এবং অনুপ্রাণিত হবে ইবির প্রতিটি স্টেক হোল্ডার। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।



বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বিদায়ী স্ট্যাটাসে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার রিয়েক্ট, ৩০০ শেয়ার, প্রায় ১৬০০জন কমেন্ট করেন। ১৬০০ কমেন্টএর কেউই উপাচার্যের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উত্থাপন করেননি।  সবাই ভালোবাসায় প্রকাশ করেছেন। উপাচার্যের বিদায়ী স্ট্যাটাসের লিংক নিচে দেওয়া হলঃ https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=3309137982477588&id=100001442571717

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, ইবি উপাচার্য হিসেবে প্রথমবারের মতো মেয়াদপূর্ণ করলেন অধ্যাপক আসকারী। ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ পান। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম উপাচার্য নিযুক্ত হন ১৯৮১ সালের ৩০ জানুয়ারি। এরপর থেকে সময়ের ধারাবাহিকতায় আরও ১১ জন উপাচার্য দায়িত্ব পালন করেন। নানা অনিয়ম আর বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে মেয়াদ পূরণ করার আগেই গদি ছাড়তে হয়েছে উপাচার্যদের। ১১ জনের মধ্যে ৭ জনকে তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে হয়েছে। আর বাকি চারজনকে অপসারণ করেছে সরকার।



সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩০ জুন নানা অনিয়মের দায়ে অধ্যাপক হাকিম সরকারকে উপাচার্য পদ থেকে অব্যাহতি দেয় সরকার। একই বছরের ২১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান ইবির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে অধ্যাপক আসকারীর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ বছর পর চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ নামে ম্যুরাল স্থাপন, বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠা এবং বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক নিয়োগ, বঙ্গবন্ধু হলের সামনে ৭ই মার্চের ভাষণ উপলক্ষে মুক্তির আহ্বান ও শাশ্বত মুজিব নামের আলাদা দুটি ম্যুরাল স্থাপন, কারিকুলামের উন্নয়নে ৫টি অনুষদ থেকে ৮টি অনুষদে রুপান্তর। ২৫টি বিভাগ থেকে ৩৪টি বিভাগে উপনীতকরণ, সেমিস্টার পদ্ধতি চালুকরণ এবং সেশন জট দূরীকরণ। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে এমওইউ স্বাক্ষর বিশ্ববিদ্যালটিকে করেছে আরও স্বনামধন্য। এমন অভূতপূর্ব উন্নয়নমূলক কাজের মধ্যদিয়ে দেশে নতুন করে ভিন্ন পরিচয়ে পরিচিতি লাভ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।



Comments

comments