ঢাকাশনিবার , ২৫ জানুয়ারি ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম মাওলানা শামছুল হুদা পাঁচবাগী

প্রতিবেদক
Kolom 24
জানুয়ারি ২৫, ২০২০ ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বাংলাদেশের মাটি যে সকল স্মরণীয় ব্যক্তিত্বকে ধারণ করেছে তার মধ্যে মাওলানা শামছুল হুদা অন্যতম একথা নির্ধিদ্বায় বলা যায়। বাংলার ইতিহাসের পাতায় যে ক’জন মানুষের নাম স্বর্ণালী অক্ষরে লিখা আছে তার মধ্যে মাওলানা শামছুল ইসলাম অন্যতম। ইতিহাসের উজ্জ্বল নক্ষত্র মাওলানা শামছুল হুদা ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁওয়ের পাঁচবাগ গ্রামে জন্ম গ্রহন করায় তিনি এ অঞ্চলে মাওলানা পাঁচবাগী নামেই অধিক পরিচিতি পান!

তাঁর আধ্যাত্মিক ক্ষমতার কথা আজো মানুষের মুখে মুখে ফেরে; যদিও দৃশ্যমান লৌকিক ক্ষমতা প্রদর্শনেও তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। ঢাকা সরকারি-ই আলিয়া মাদ্রাসা হতে ফাজিল(ডিগ্রী) পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১ম স্থানসহ স্বর্ণপদক লাভ করেন। ভারতের উত্তর প্রদেশের স্ট্রেট মাদ্রাসায় ৪ বছর মেয়াদি হাদীস কোর্স ২ বছরে সম্পন্ন করে এলমে লুধুনীর অধিকারী হোন!

১৯৩৭সালে গফরগাঁও হতে তিনি ‘এম এল এ’ নির্বাচিত হউন; ১৯৪০ সালে আসাম ও বঙ্গ প্রদেশ নিয়ে একটি পৃথক রাজ্য গঠনের লক্ষে ‘ইমারত পার্টি’ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন এবং তিনি-ই সভাপতি নিযুক্ত হন! ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পারি, ২য় বিশ্ব যুদ্ধের পর ১৯৪৬ সালে তৎকালীন মুসলীম লীগের বিরুদ্ধে তাঁর ইমারত পার্টি প্রাদেশিক নির্বাচনে জয়ী হয়! কথিত আছে নির্বাচনের সময় মাওলানা সাহেব সাত মাইল দীর্ঘ এক মিছিল সমেত গফরগাঁয়ে অনুষ্ঠিত মুসলীম লীগের সমাবেশ পন্ড করে দিয়ে ছিলেন! ১৯৫৪ সালে যুক্ত ফ্রন্টের হয়েও নির্বাচন করে প্রতিপক্ষকে হারিয়েছেন।

১৯৫২তে ভাষা আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন, রাষ্ট্র ভাষা বাংলা হউক এটা তিনি মনে প্রাণে চাইতেন। ১৯৭১সালে পাক হানাদার আর এ দেশিয় দোসরেরা মাওলানা সাহেব বয়োজ্যোষ্ঠ হওয়ায় তাকে থানা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেন; কিন্তু শান্তি কমেটির দেশবিরুধী, অ-সামাজিক কার্যকলাপ আর নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে তিনি ঐ পদ প্রত্যাখ্যান করেন। জীবনে তাঁকে ৪৭বার কারা বরণ করতে হয়েছে! রাজনৈতিক কারণে তিনি ১০২৫টি মামলার সাথে জড়িত ছিলেন।

তিনি ‘হুজ্জাতুল ইসলাম’ ‘ইমারত ‘দ্বীন দুনিয়া’ নামের সাপ্তাহিক ও মাসিক কাগজগুলির সম্পাদক ছিলেন। ময়মনসিংহ শহরে তাঁর দুটি প্রেসও ছিলো এবং এই শহরের ব্রাহ্মপল্লীতে নারী শিক্ষা প্রসারের উদ্দেশ্যে একটি মহিলা মাদ্রাসা স্থাপন করেন। নিজ এলাকা পাঁচবাগেও রয়েছে তাঁর প্রতিষ্টিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান!

৪৭বার কারা বরণ করে নেয়া এই মহা-পুরুষ ১৯৮৮ সালের ৮ অক্টোবরে মৃত্যুকেই বরণ করে নেন।  আল্লাহ্‌ এই মনীষী কে জান্নাত বাসী করুন, আমিন।

(কলম ২৪ ডেস্ক)

Comments

comments