ঢাকামঙ্গলবার , ২৬ অক্টোবর ২০২১
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চলতি মাসে দেশে এসেছে ১২০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স

প্রতিবেদক
Kolom 24
অক্টোবর ২৬, ২০২১ ৬:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

“চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম ২১ দিনে ১২০ কোটি ৭০ লাখ (১ দশমিক ২০৭ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ৫০ পয়সা ধরে) যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ হাজার ৩১৯ কোটি টাকা।

চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে মাসের শেষে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ১৭০ কোটি ডলার আসবে বলে ধারণা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। গত বছর করোনার মধ্যেও চাঙ্গা থাকা অর্থনীতির সবচেয়ে ভালো সূচক ছিল প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে এ সূচক ধারাবাহিকভাবে কমছে।

রেমিট্যান্স-প্রবাহ কমে যাওয়ার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করে খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছরের শুরুতে মহামারি করোনার কারণে প্রবাসীরা এক ধরনের অনিশ্চয়তা থেকে তাদের জমানো টাকা দেশে পাঠিয়েছিলেন।…অনেকে চাকরি হারিয়ে কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে সব অর্থ দেশে এনেছেন। তাছাড়া গত বছরের শুরুতে করোনার স্থবিরতার কারণে হুন্ডিপ্রবণতা কমে যায়।

ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠানো বেড়ে যায়। এসব কারণে মহামারির মধ্যেও রেমিট্যান্স-প্রবাহ বাড়ে। এখন করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। অনেক দেশে ভ্রমণ-যোগাযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য সচল হয়েছে। ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে অর্থের চাহিদা বেড়ে গেছে। এ কারণে বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয় কমছে।

এছাড়া অনেকে দেশে এসে আটকা পড়েছেন। আবার অনেক প্রবাসী নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে গিয়ে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানো কমিয়ে দিয়েছেন।…এসব কারণে রেমিট্যান্স নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। তবে শ্রম রপ্তানি শুরু হওয়ায় শিগিগরই আবার প্রবাসী আয় ইতিবাচক হবে বলে প্রত্যাশা করছেন ব্যাংকাররা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি অক্টোবর মাসের ৩ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৯২ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৫ লাখ ডলার। দুটি বিশেষায়িত ব্যাংকের মধ্যে একটিতে এসেছে ২ কোটি ৬৪ লাখ মার্কিন ডলার।

চলতি মাসের ২১ দিনে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে।…ব্যাংকটির মাধ্যমে ৩১ কোটি ১৫ লাখ ডলার এসেছে। এরপর ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে প্রায় ১৩ কোটি ৭৯ লাখ ডলার, অগ্রণী ব্যাংকে ৯ কোটি ৯৪ লাখ ও সোনালী ব্যাংক ৮ কোটি ১৩ লাখ ডলার এবং ব্র্যাক ব্যাংকে এসেছে ৬ কোটি ৩২ লাখ ডলারের প্রবাসী আয়। আলোচ্য সময়ে সরকারি বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, পুলিশের কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ গেল সেপ্টেম্বর মাসে দেশে ১৭২ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। প্রবাসী আয়ের এ অঙ্ক গত ১৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।.. তার আগে ২০২০ সালের মে মাসে দেশে ১৫০ কোটি ডলার সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স এসেছিল।

এছাড়া গত তিন মাস ধরে ধারাবাহিক রেমিট্যান্স কমছে। এর আগে গত আগস্ট মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮১ কোটি ডলার। যা তার আগের মাস জুলাইয়ের চেয়ে ৬ কোটি ১৪ লাখ ডলার কম। এছাড়া আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫ কোটি ৩৮ লাখ বা প্রায় ৮ শতাংশ কম। এর আগে চলতি বছরের জুলাইয়ে দেশে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে। যা তার আগের মাস জুনের চেয়ে ৬ কোটি ৯৩ লাখ ডলার কম। এছাড়া আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ২৮ শতাংশ কম।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে আসে।..  যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি বাংলাদেশে।

এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। অর্থবছর হিসেবে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। তারও আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণের রেকর্ড হয়। ঐ সময় ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে দেশে।

২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাত্ কোনো প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরো ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন সুবিধাভোগী।%&*-

Comments

comments