কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকার সবচেয়ে বড় গরুর হাট শোলাকিয়ার ইচ্ছাগঞ্জ গরুর বাজার। পুরো জেলা জুড়েই রয়েছে ঐতিহ্যবাহী এ বাজারের সুনাম। বিগত দুই বছর ধরে ইজারা বিহীন খাস আদায়ে চলছে এ হাট।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মোট আয়ের বৃহৎ একটি অংশই আসে এ বাজার থেকে। তবে অনিয়মের কারণে খাস আদায় থেকে প্রকৃত কত টাকা আসে তা অদৃশ্যই থেকে যায়।
নিয়মবহির্ভূত খাস আদায়ের রশিদ বহির মাধ্যমে ক্রেতা বিক্রেতার কাছ থেকে টাকা আদায়ের মহোৎসব চলছে এ বাজারে। রশিদে প্রয়োজনে আব্দুর রউফ নামে এক ব্যক্তির নামোল্লেখ আছে। যদিও পৌরসভার বিবিধ বহির মাধ্যমে ক্রেতা বিক্রেতার কাছ থেকে খাস আদায় করার নিয়ম রয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে ইচ্ছাগঞ্জ গরুর হাটে পৌর কর্তৃপক্ষের কাউকেই পাওয়া যায়নি। অথচ খাস আদায়ের ক্ষেত্রে নিয়ম পৌরসভার লোক কর্তৃক খাসের টাকা আদায় করতে হবে। দেখা যায় হেলাল মিয়া, হানিফ ও কামাল নামের ব্যাক্তিরা খাস আদায় করছেন। হেলাল মিয়া, হানিফ ও কামালকে কি প্রক্রিয়ায় খাস আদায় হয় এবং পৌর কর্তৃপক্ষ কি প্রক্রিয়ায় খাস আদায়ের টাকা নিয়ে যায় এমন প্রশ্ন করলে তারা বলেন, আমরাই খাস আদায় করি। পৌর কর্তৃপক্ষের লোকজন অনেক সময় আসেন আবার অনেক সময় আসেন না, তারা কেউ না আসলে আমরা টাকা পৌঁছে দিয়ে আসি।
নিয়মবহির্ভূত রশিদ বহির মাধ্যমে কিভাবে খাস আদায়ের টাকা আদায় হচ্ছে জানতে চাওয়া হলে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ পারভেজ মিয়া এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ইজারা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা করণ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের কাছে ইজারা ব্যবসায়ী মাহবুব আলম গত ১৫ জুন একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
Comments
comments