ঢাকাশুক্রবার , ১ জুলাই ২০২২
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হাওরে চিকিৎসা ও ত্রাণের সংকট নেই- এমপি তৌফিক

প্রতিবেদক
Kolom 24
জুলাই ১, ২০২২ ৩:০৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ভারতের বৃষ্টিবহুল অঞ্চল মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জীতে কয়েক দশকের মধ্যে বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ায় হাওরের বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে যে বন্যার সৃষ্টি হয়েছিল সে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। হাওরবাসীর বক্তব্য অনুযায়ী প্রতিবছরই তারা শুকনো ও বর্ষার প্রাকৃতিক লীলা মোকাবেলা করে। হাওর পাড়ের মানুষের সুখ-দুঃখের গল্প, আনন্দ-বেদনা, জীবনযাপন শুকনো ও বর্ষা ঘিরেই। ঝড় নাই, বৃষ্টি নাই, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়া নাই তারা জীবনের মায়া উপেক্ষা করেই জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যায়। হাওর অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম বেশি পরিচিত এ জেলার মানুষের কাছে। তাদের কাছে হাওর মানেই ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম। তিন উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নের ১০৪০ বর্গ কিলোমিটার প্লাবিত হয় এ বন্যায়। ক্ষতির শিকার হয় প্রায় লক্ষাধিক মানুষ, হাজারখানেক গবাদিপশু ও শতাধিক মৎস্য ব্যবসায়ী। ক্ষতিগ্রস্তরা আশ্রয় নেয় আশ্রয় কেন্দ্রে। বন্যার কবলে পড়ে শুরু হয় তাদের জীবনযুদ্ধ। এ যুদ্ধে সার্বক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে থেকে তিন উপজেলার বাসিন্দাদের মন আবারও জয় করে নিল কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অস্টগ্রাম) সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।

জানা যায়, রাস্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বন্যার কবলে পড়া ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের খবর নিয়েছেন সবসময়। রাষ্ট্রপতি পুত্র ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম আসনের এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। ত্রাণ সংকটে যেন কেউ না পড়ে। একটি ক্ষতিগ্রস্থ বন্যা কবলিত মানুষও যেন খাদ্যের অভাবে না পড়েন সেজন্য সংসদ সদস্য তৌফিক নিজে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করেছেন। প্রতিদিন বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ও গ্রামে গিয়ে বাড়ি বাড়ি খোঁজ নিয়েছেন কোনো ধরনের সংকটে আছেন কিনা?

বন্যার্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত হওয়ায় পরিবার-পরিজন, শিশু ও বৃদ্ধরা যে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছিলেন তিনি তার মমতা, বিচক্ষণতা, দক্ষতা দিয়ে সেই অনিশ্চয়তা কাটিয়েছেন। বন্যার কারণে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগ যেন মানুষদের কাবু করতে না পারে সেকারণে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে তদারকি করেছেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল টিমের সদস্যরা বন্যায় আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে কিনা তারও খোঁজ খবর রেখেছেন প্রতিনিয়ত। পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ রয়েছে এ তিন উপজেলায়। ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডায়রিয়া, আমাশয়সহ অন্যান্য পানিবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও সূত্র জানিয়েছে।

মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোর ইউনিয়নের কান্দিপাড়া গ্রামের মনু মিয়া বলেন, পানির সাথে যুদ্ধ করেই আমরা জীবনযাপন করি। এ বছর পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় আমরা একটু ঝামেলায় পড়েছি। এমপি সাব আমাদের খাদ্য ও চিকিৎসার কোনো কমতি রাখে নাই। আমাদের ইউনিয়নের মধ্যে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সবারই খোঁজ খবর রাখছেন এমপি সাব। আমাদের কোনো সংকট নাই।

মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের কৈবর্তহাটির বাদল মিয়া বলেন, আমাদের ইউনিয়নে কোনো খাদ্য সংকট নাই। যারা বলে আমরা খাদ্য সংকটে আছি তারা মিথ্যা অপবাদ দেয়।

ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার বাসিন্দারা বলেন, আমাদের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক প্রতিটি ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থদের সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখছেন। আমরা যেন খাদ্যাভাব চিকিৎসা সংকটে না থাকি সেজন্য উনি নিজেই আমাদের কাছে এসে এসে বলে যাচ্ছেন কোনো ধরনের সমস্যা হলেই উনাকে জানাতে।

কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অস্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, বর্ষাকাল জুড়ে হাওরের পানিকে সাগর বলে মনে হয় এবং এর মধ্যে অবস্থিত গ্রামগুলোকে দ্বীপ বলে প্রতীয়মান হয়। ভৌগোলিক কারণেই হাওর অঞ্চলের জীবনযাত্রা ভিন্ন। প্রকৃতির সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার সক্ষমতা আমাদের একটু ভিন্নভাবে পরিচিতি দেয়।

এমপি তৌফিক বলেন, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরীপুঞ্জিতে কয়েক দশকের মধ্যে বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ায় এ বছর কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে আমার আসনে চিকিৎসা ও ত্রাণের কোনো সংকট নেই। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত আছে।

রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় এ জনপদের মানুষের পাশে আছেন। তিনি সব সময় কার্যক্রম তদারকি করছেন, নির্দেশনা দিচ্ছেন। আমরা তাঁর নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।

Comments

comments