ঢাকামঙ্গলবার , ৫ জুলাই ২০২২
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জে ব্যস্ত কামারেরা

প্রতিবেদক
Kolom 24
জুলাই ৫, ২০২২ ৩:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে কিশোরগঞ্জের কামারেরা। কোরবানির ঈদের প্রধান অনুষঙ্গ দা, ছুরি, বটি, চাপাতি। তাই প্রতি বছর কোরবানির ঈদে কামারদের থাকে ব্যস্ততা। অর্ডার অনুযায়ী খদ্দেরকে সরবরাহ করতে হয় কোরবানির অনুষঙ্গ। তবে এ বছর করোনায় ভিন্ন চিত্র ফুটে উঠেছে। পূঁজি বিনিয়োগ করেছেন। পর্যাপ্ত মুনাফা নিয়ে চিন্তিত নয়। প্রতি বছর কোরবানির ঈদে সবাই বিনিয়োগ করে। চট্টগ্রাম থেকে লোহা আনেন। দা, ছুরি, বটি, চাপাতিসহ পশু কোরবানি ও গোশত কাটার জন্য যে সব ধারালো তৈজসপত্র লাগে তারা তৈরি করেন। দোকানে সাজিয়ে রাখেন। ক্রেতারা আসেন। পছন্দ করেন। দরদাম শেষে কিনে নিয়ে যান।

বিসিক সূত্র জানায়, এক সময় কিশোরগঞ্জ জেলায় ৬০০ কামার ছিল। গত ৩০-৪০ বৎসরে তা কমে ৩০০ তে দাঁড়িয়েছে।

সরজমিনে আখড়া বাজার, বড় বাজার, পুরানথানা বাজার, মোরগমহল ঘুরে কামারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত দুই বছরের চেয়ে এবারের কোরবানির ঈদ উপলক্ষে দা, ছুরি, বটি, চাপাতি তৈরি ও মেরামত কাজে ব্যস্ততা আছে। মানুষ কামারশালায় ভীড় করছেন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন পশুর হাট জমে উঠেছে। ধারণা করা হচ্ছে আগামী চার দিন কাজের চাপ বাড়তে পারে। এক মণ পাথর কয়লা ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায় কিনতে হয়। কাঠ কয়লা পাওয়া দুস্কর হয়ে পড়েছে বলে জানায় কামারেরা। প্রতি কেজি লোহা ৮০ থেকে ৯০ টাকায় কিনতে হয়। চাপাতি বানানোর স্প্রিং ১৩০ থেকে ১৭০ টাকায় কিনতে হয়। সে তুলনায় মজুরি অতি অল্প। তাই আমাদের লোকসানে পড়তে হচ্ছে।

জানা যায়, একটি বড় দা বটি ১ কেজির লোহা দিয়ে তৈরি করে মজুরিসহ ৬০০ টাকা, চামড়া ছাড়ানো ছোট ছুরি ১৫০ টাকা, চাপাতি প্রকার ভেদে ৬শ’ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা, জবাই দেয়ার ছুরি ৬শ’ টাকা থেকে ৭শ’ টাকা করে নিচ্ছেন তারা। আর একটি দা শান দিতে ৮০ টাকা, একটি বটি শান দিতে ৬০ টাকা ও একটি ছুরিতে শান দিতে ৫০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, অন্য সময়ের চেয়ে এখন চাপাতি, চাকু, ছুরির দাম বেশি রাখা হচ্ছে। কামাররা বলছেন, শ্রমিকের মজুরি, লোহা ও কয়লার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লোহার তৈরি এসব জিনিসের দাম গত বছরের চেয়ে এ বছর একটু বেড়েছে।

কামার সালে উদ্দিন জানান, গত দুই বছরের তুলনায় এ বছর আমাদের অল্প ব্যবসা হচ্চে। লকডাউনের কারণে দুই বছর ব্যবসায় হয়নি। খারাপ সময় শেষে ভাল সময় এসেছে।

কিশোরগঞ্জের বড় বাজারের কামার স্বপন কর্মকার জানান, গত দুই বছরের তুলনায় এ বছর কাজের চাপ অনেক বেশি। সকালে দোকানে আসি গভীর রাতে বাড়ি ফিরি। গড়ে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০টি কাজ করে হাজার থেকে দুই হাজার টাকা আয় হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর বেশি আয় হচ্ছে।

Comments

comments