কোরবানি হলো একটি ইবাদত, যা প্রতি বছর বিত্তববানদের ওপর আরোপিত হয় নির্দিষ্ট সময়ে। এই ইবাদাতের মাধ্যমে মানুষ মহান আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভ করে থাকেন। বান্দার সঙ্গে মহান আল্লাহর ভালোবাসার অনন্য নিদর্শনও কোরবানি। ত্যাগের মাধ্যমে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয় ধনী-গরিব। তাদের মাঝে সেতু বন্ধনের সৃষ্টি হয়। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য যে পশু কোরবানি করা হয় তা থেকে কিছু অংশ সমাজের গরিব-দুঃখীর মাঝে বিতরণ করা হয়।
সমাজে এমন অনেক অভাবি মানুষ রয়েছে, যারা কোরবানিকেই গোশত খাওয়ার উপলক্ষ হিসেবে বিবেচনা করে। আশায় থাকে কোরবানি আসলেই চাহিদা পূরণ করে খাবে গরু/খাশির গোশত। কোরবানির ঈদের অপেক্ষায় থাকে এসব অভাবি মানুষ।
পবিত্র ঈদুল আয্হা উপলক্ষে রবিবার (৭ জুলাই) একশত চল্লিশ জন অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে পুলিশ লাইন্স ড্রিলশেডে কোরবানির গোশত বিতরণ করে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিল কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ। এতে সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোস্তাক সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) অর্নিবান চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আল-আমিন প্রমুখ।
কোরবানির গোশত পেয়ে এক বৃদ্ধা বলেন, “এমুন আদর কইরা স্যার আমাগো কুরবানির গোশত দিছেন। আল্লাহ তারে বাঁচাইয়া রাহুক। অইন্য পুলিশ ভাইরা আমরারে হনেক ইজ্জত দিছুইন।”
পরে ফোর্স মেসে ফোর্সদের সাথে প্রীতিভোজে অংশগ্রহন করেন পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)।
Comments
comments