সারাবিশ্বের সাথে কিশোরগঞ্জেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র আশুরার শোকানুষ্ঠান পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ঐতিহাসিক বৌলাই পীর সাহেব বাড়ির মাজার ও দরবার শরীফ প্রাঙ্গনে দশ দিন ব্যাপি আয়োজন করা হয় কোরআন খানি, মিলাদ, মুর্ছিয়া জারি। দশই মহররম আশুরার মাধ্যমে আয়োজনের সমাপ্তি হয়।
সারাদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে কারবালায় নির্মম ভাবে শাহাদাৎ বরণকারী নবী (সাঃ) এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (আঃ), নবী পরিবারের স্বরনে আলোচনা করা হয়। সত্যে ও হকের পথ চিহ্নিত করার মানদন্ড কারাবালা প্রান্তের এই নির্মম হত্যাযজ্ঞের কাহীনি নিয়ে রচিত মুর্ছিয়া জারী পরিবেশন করা হয়। জারী পরিবেশন করে কিশোরগঞ্জ তথা বৃহত্তর ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী ‘শানে পাঞ্জাতন মহররম জারী দল’।
জারী শেষে মিলাদ, দোয়ার আয়োজন করা হয়। আখেরী মোনাজাত করেন জারীদল প্রতিষ্ঠাকারী সৈয়দ আঃ আউয়াল হোসাইনী চিশতী (চাঁনমিয়া)র ছোটোভাই বর্তমান গদীনিশিন পীর সৈয়দ শাহ নূরুল আউয়াল (তারামিয়া)।
বৌলাই পীর সাহেব বাড়ির বর্তমান বংশধর পীরজাদা সৈয়দ ইয়াছিন বলেন ‘মহররম শুধু মুমিনের পরিচয় নিয়ে আসে না, এই মহররম চিনিয়ে দেয় কে হোসাইনি মুসলমান আর এজিদি মুসলমান। কারবালার কাহিনী নিয়ে মুর্ছিয়া জারী, মাত্তম শত শত বছর ধরে চলে আসছে। এটা অনেক আগে থেকেই বাঙালী মুসলমান তথা এদেশের সংস্কৃতির অবিচ্ছ্যদ্য অংশ। অনুষ্ঠানে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা প্রদান করায় জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশকে বৌলাই পীর সাহেব বাড়ির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
Comments
comments