ঢাকারবিবার , ১৪ আগস্ট ২০২২
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জে লোকসানে দুগ্ধ খামারিরা, ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি

প্রতিবেদক
Kolom 24
আগস্ট ১৪, ২০২২ ১২:৩৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

গো-খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও করোনাকালীন লকডাউনের কারণে কিশোরগঞ্জের দুগ্ধ খামারিদের গুনতে হয়েছে আনুমানিক ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি। এ লোকসান পূরণ করতে পারছে না খামারিরা। সংশ্লিষ্ট খামারিরা বলছে এ লোকসান পূরণ করতে কমপক্ষে ১২ বছর সময় লাগবে। লোকসান গুনলেও দুধের দাম বাড়ছে না। তবে জ্বালানি তেল ও গো-খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে দুধের দাম লিটার প্রতি ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকা হতে পারে বলে জানাচ্ছে অর্থনীতিবিদরা। প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর বলছে কিশোরগঞ্জে দুগ্ধ খামারি, পোল্ট্রি খামারিসহ প্রায় ১২ হাজার খামারিকে করোনাকালীন ১৫ কোটি টাকা প্রনোদনা দেয়া হয়েছে।

খামারি ও ডেইরি অ্যাসোসিয়েশন বলছে, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে দানাদার খাদ্যের দাম। সঙ্গে দ্বিগুণ বেড়েছে খড়ের দাম। গমের ভুষি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৬৫০ থেকে দুই হাজার টাকা বস্তা, ভুট্টার গুঁড়া এক হাজার ৭০০ টাকা বস্তা, ধানের কুঁড়া ৭৫০ টাকা বস্তা, খৈল সাড়ে চার টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকা বস্তা, খেসারির ভুষি এক হাজার ৬০০ টাকা (৩০ কেজি) বস্তা এবং ঘাস প্রতি আঁটি ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে কাউফিড প্রতি বস্তা দেড় হাজার টাকা। অ্যাঙ্কর ডালের ভুষি এক হাজার ২০০ টাকা বস্তা দরে কিনতে হচ্ছে। ধানের খড় কিনতে হচ্ছে প্রতি আঁটি ৫-৬ টাকা দরে। এমন পরিস্থিতিতে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে গো-খাদ্যের দাম আরও বৃদ্ধি হবে। এছাড়া ডিলারের কাছে বিশাল অঙ্কের টাকা বাকি পড়ে থাকায় গরু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক খামারি।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় ১০টার বেশি গাভী পালন করে দুগ্ধ খামারি রয়েছে প্রায় ৩’শ। দানাদার খাদ্যের বদলে কাটা ঘাস খাওয়ানোর পরামর্শ প্রদান করছি। প্রতিটি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে খামারিদের উন্নত জাতের ঘাসের কাটিং বিতরণ করছি। দানাদার খাদ্য সহজলভ্য হওয়ায় খামারিরা গাভীদের দানাদার খাদ্য খাওয়ায়। তারা চিন্তা করে দুধের পরিমাণ কিসে বাড়বে। গাভীর স্বাস্থ্য নিয়ে তাদের ভাবনা নেই।

ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আজমল খান জানান, গো-খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও করোনাকালীন লকডাউনের কারণে আমাদের লোকসানে পড়তে হয়েছে। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি গো-খাদ্যের দাম কয়েকগুণ বাড়াবে। আমরা গো-খাদ্যের দামের লাগাম টানা দেখতে চাই। এভাবে দাম বৃদ্ধি হতে থাকলে খামারিরা পথে বসবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. নজরুল ইসলাম বলেন, খামারিরা লোকসান গুনছেন-এ বিষয়টি আমরা উপলব্ধি করতে পারছি। তবে এক্ষেত্রে আমাদের করার কিছুই নেই। খামারিদের দুধ উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলে তারা দাম বাড়াবে। আমরা নিয়মিত প্রতিটি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে খামারিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

Comments

comments