গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগির চিকিৎসার একমাত্র ভরসার স্থল ভেটেরিনারি হাসপাতাল। আর সে স্থলে এসে যদি বিনা চিকিৎসায় ফেরত গিয়ে পল্লী চিকিৎসকদের দারস্থ হতে হয় তবে সে ভরসার স্থল আস্থা হারায়। কিশোরগঞ্জের ৫টি উপজেলায় ভেটেরিনারি সার্জনের পদ শূণ্য। ভেটেরিনারি সার্জন না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়ছে কৃষকেরা।
জেলা প্রাণী সম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল সূত্র জানায়, পাকুন্দিয়া, কটিয়াদী, করিমগঞ্জ, তাড়াইল, কুলিয়ারচর উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে ভেটেরিনারি সার্জনের পদ শূন্য রয়েছে। বাকি সব উপজেলায় ভেটেরিনারি সার্জন আছে। ইটনা উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন গত ৬ মাস ফাউন্ডেশন ট্রেনিংয়ে ছিলেন। তিনি ট্রেনিং শেষে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) কর্মস্থলে যোগ দেন।
সরজমিনে পাকুন্দিয়া, কটিয়াদী, করিমগঞ্জ, তাড়াইল, কুলিয়ারচর প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকেরা তাদের অসুস্থ গরু, ছাগল নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় আছে চিকিৎসা জন্য। চিকিৎসক নেই। চিকিৎসক ঘন্টাখানেক পর এসে গরু ও ছাগলের চিকিৎসা দেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভেটেরিনারি সার্জনরা প্রায়ই ছুটে যান গরু, ছাগল, হাঁস ও মুরগির খামারে চিকিৎসা সেবা দিতে। মূলত জনবল সংকটের কারণেই গরু, ছাগলের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছে। আর কৃষকেরা অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করে বাধ্য হয়ে পল্লী চিকিৎসকদের দারস্থ হচ্ছে।
একাধিক সূত্র জানায়, ভেটেরিনারি সার্জনের সংকট ও পল্লী চিকিৎসকদের সিন্ডিকেটে জিম্মি হয়ে আছে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগির চিকিৎসা খাত। কমিশনের ভিত্তিতে চলছে এ শক্তিশালী সিন্ডিকেট। জিম্মিদশা থেকে বের হতে নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন বলেও সূত্র জানায়।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নজরুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসা সেবা ব্যহত হয় না এ জেলায়। আমাদের উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। ভেটেরিনারি সার্জনের শূন্য পদ পূরণে আমরা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। শূন্য পদ পূরণ হলে চিকিৎসা সেবা আরও গতিশীল হবে।
Comments
comments