কিশোরগঞ্জে ডেঙ্গু আতঙ্কে মশারি কিনতে দোকানে ভিড় করছেন মানুষ। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগী বেশির ভাগ রাজধানী ঢাকা থেকে আসা। জেলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য মহিলা এবং পুরুষের আলাদা আলাদা করে দুটি ইউনিট রেডি করা আছে। ডেঙ্গু শনাক্ত করার কিট এবং প্রয়োজনীয় ওষুধও পর্যাপ্ত পরিমাণ রয়েছে। তাই আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিচলিত নই।’
জানা গেছে, পাঁচ দিনে (গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত) শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন ২৪ জন রোগী। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন পাঁচজন। এর মধ্যে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে গত বুধবার প্লটিলেট কাউন্ট কমে যাওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য একজন রোগীকে রেফার্ডও করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রোগী জানান, হাসপাতালে শৌচাগার ও হাসপাতালের ফ্লোর পরিষ্কার নয়। যে কারণে অনেক রোগী এবং স্বজনের কষ্ট হয়। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন ভুক্তভোগী রোগীরা। হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে অনেক রোগী চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন, যাদের সংখ্যা রেজিস্টিভুক্ত হচ্ছে না কর্তৃপক্ষের খাতায়।
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। তারপরও আমরা সতর্ক। যারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁদের মশারির ভেতরে রাখা হয়েছে, যেন নতুন করে ডেঙ্গু ছড়িয়ে না পড়ে।’
Comments
comments