ঢাকাবুধবার , ১৬ নভেম্বর ২০২২
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জে মশায় শান্তি নেই মানুষের

প্রতিবেদক
Kolom 24
নভেম্বর ১৬, ২০২২ ২:২৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ কিশোরগঞ্জ পৌরবাসী। ঘরে-বাইরে মশার উপদ্রব। এতে বাড়ছে মশাবাহিত রোগের আশঙ্কা। বিশেষ করে ডেঙ্গুর আতঙ্ক বাড়ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এদিকে অতিরিক্ত মশার কারণে মশারি, কয়েল ও ম্যাজিক ব্যাট ব্যবহার করেও সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, মশা নিধনের জন্য ওষুধ ছিটানো হয়েছে। সামনের সপ্তাহ থেকে আবার শুরু হবে মশা নিধন কার্যক্রম।

পৌরসভার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পৌর শহরের ড্রেনগুলোতে মশার বংশবিস্তার বাড়ছে। নোংরা পানিতে ভর্তি থাকা এবং নিয়মিত সেগুলো পরিষ্কার না করায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত নানা রোগের আশঙ্কা।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৫৩ জন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ২৭ জন। প্রতিদিনই এই সংখ্যা বাড়ছে।

কিশোরগঞ্জ পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ সালের বাজেটে মশা নিধনের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট রয়েছে ১০ লাখ টাকা। এ পৌরসভায় সাতটি ফগার মেশিন রয়েছে। ফগার মেশিনগুলো সার্ভিসিংয়ে দেওয়া হয়েছে।

পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৈয়দ ইয়াছিন বলেন, কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ। অনেক দিন ধরে এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে না। মশার উপদ্রবে ঘরে থাকা যায় না। সেই সঙ্গে ডেঙ্গু রোগ যেভাবে বাড়ছে, তার ভয়েই তটস্থ থাকি।

পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পলাশ মাহমুদ বলেন, এখন দিনের বেলাতেও মশার কামড় সহ্য করতে হচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষ ও শিক্ষার্থীরা বেশি কষ্টে আছে। শিক্ষার্থীরা মশার যন্ত্রণায় পড়তে পারছে না। মশার কয়েল জ্বালিয়ে সুফল মিলছে না। কারণ, কয়েল জ্বালিয়ে রাখলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

৩ নম্বর ওয়ার্ডের জসিম উদ্দিন রুবেল আক্ষেপ করে বলেন, ‘রাতে মশা, দিনেও মশা। মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। কোথাও এক মিনিটও নিরাপদে বসা যাচ্ছে না।’

পৌর এলাকার বাসিন্দা আসিফ আদনান, শহিদুল্লাহ, মানিক, হান্নান ও কালাম জানান, ২৪ ঘণ্টাই মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে আছি। এক দিনও দেখলাম না মশার ওষুধ ছিটাতে।

নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সজিব ঘোষ পৌর এলাকার খরমপট্টির বাসিন্দা। তিনি বলেন, এ বছর এডিস মশার কামড়ের ফলে ডেঙ্গু রোগের প্রাদূর্ভাব অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। জ্বর ও শরীর ব্যথা হলে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। মশারি টানিয়ে ঘুমান এবং নিজের আঙিনা ও চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।

কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. পারভেজ মিয়া বলেন, মশা নিধনের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। পৌর এলাকার প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় সামনের সপ্তাহ থেকে মশার ওষুধ ছিটানো হবে।

Comments

comments