ঢাকাশনিবার , ২৬ নভেম্বর ২০২২
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জে অপমৃত্যু মামলার দায়সারা তদন্ত

প্রতিবেদক
Kolom 24
নভেম্বর ২৬, ২০২২ ৮:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জ জেলায় অপমৃত্যু মামলার দায়সারা তদন্তের ঘটনা ঘটছে। গত ১১ মাসে ২৩৩টি অপমৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত এই অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এতে নারীর চেয়ে পুরুষেরাই বেশি অপমৃত্যুর শিকার হয়েছেন।

মানবাধিকার কর্মীদের মতে, প্রতিটি অপমৃত্যু ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে এর নেপথ্য কারণ নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি সতর্ক হলে কিছু অপমৃত্যু এড়ানো সম্ভব। গলায় ফাঁস দিয়ে কিংবা বিষপানে ‘আত্মহত্যা’, পানিতে ডুবে ও বজ্রপাতে মৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু, ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে মৃত্যু অথবা সন্দেহজনক মৃত্যু হলে থানায় অপমৃত্যু হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়। এক্ষেত্রে কোনো তদন্ত হয় না। এ সুযোগে পরিকল্পিতভাবে কাউকে মেরে তা অপমৃত্যু হিসেবে চালিয়ে পার পেয়ে যেতে পারেন অপরাধীরা। তাই অস্বাভাবিক মৃত্যু বা অপমৃত্যুর কারণ নির্ণয়ে সঠিক ময়নাতদন্তের প্রয়োজন।

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, ‘জেলার ১৩ উপজেলায় ১৩৩টি বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষদের সচেতন করছি। অপমৃত্যু রোধে পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্কের সেতুবন্ধন তৈরি করে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। সমাজকে সুন্দর করে সাজানোর দায়িত্ব আমাদেরই।’

জানা গেছে, জেলার ৭০ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। বর্ষাকালে অলস জীবনযাপন করার কারণে পারিবারিক কলহ বাড়ে। এ ছাড়া এখানকার মানুষের মধ্যে জুয়া খেলার প্রবণতা বেশি। এসব ঘটনায় কখনো থানায় অভিযোগ আসে না; কিন্তু ভুক্তভোগীরা বেছে নেন ‘আত্মহত্যা’র পথ।

সূত্রমতে, চলতি বছর জেলায় পানিতে ডুবে মৃতের সংখ্যা ৩২, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২৭ ও ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন।

কিশোরগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন বলেন, অপমৃত্যু বেশি হয় অসচেতনতার কারণে। অস্বাভাবিক মৃত্যুগুলোর অধিকতর তদন্ত না হওয়ায় প্রকৃত ঘটনা আঁড়ালেই থেকে যায়। আত্মহত্যা, ট্রেনে কাটা পড়ে মরাসহ প্রতিটি অপমৃত্যুর অধিকতর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক জানান, অস্বাভাবিক ও অপমৃত্যুর বেলায় ময়নাতদন্ত করা বাধ্যতামূলক। কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভিসেরা দীর্ঘদিন সংরক্ষণের আধুনিক ব্যবস্থা নেই। আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাবে সনাতন পদ্ধতিতে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে আর পুলিশ ময়নাতদন্তের ভিত্তিতেই আদালতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর প্রতিবেদন দাখিল করে।

কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ডিজি হেলথকে কয়েকবার চিঠি দিয়েছি পোস্টমর্টেম স্থানান্তর করার জন্য। সর্বশেষ সিভিল সার্জন ডিজি হেলথকে চিঠি দিয়েছেন পোস্টমর্টেম মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরের জন্য। যত দিন আমাদের ঘাড়ে আছে, তত দিন বাধ্য হয়েই পোস্টমর্টেম করব। তবে প্রশিক্ষিত ফরেনসিক চিকিৎসকের অভাবে এ হাসপাতালে মানসম্মত ময়নাতদন্ত হয় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘মেডিকেল কলেজে ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক থাকা সত্ত্বেও কেন পোস্টমর্টেম স্থানান্তর হচ্ছে না, তা আমরা জানি না। অস্বাভাবিক মৃত্যু বা অপমৃত্যুর কারণ নির্ণয়ে সঠিক ময়নাতদন্তের প্রয়োজন আর তাই যেখানে ফরেনসিক বিভাগ রয়েছে, সেখানেই ময়নাতদন্ত হওয়া উচিত।’

শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. নজরুল ইসলামকে ময়না তদন্ত কেন করা হয় না এমন প্রশ্ন করলে তিনি মোবাইল ফোনে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

Comments

comments