কিশোরগঞ্জে হেলে যাওয়া সুপারি গাছ থেকে হৃদয় (২৩) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কাতিয়ারচর গ্রামের স্থানীয় মানুষদের সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। তবে হৃদয়ের পরিবারের দাবি এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
হৃদয় সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কাতিয়ারচর গ্রামের মোঃ সিদ্দিক মিয়ার ছেলে। সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী ছিলেন।
সূত্র জানায়, হৃদয় মারা যাওয়ার ২ দিন আগে তারই একজন প্রতিবেশীর সাথে মারামারি হয়। সোমবার (২৮ নভেম্বর) রাতে খেলা দেখার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে রাতে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকালে একটি হেলে যাওয়া সুপারি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখা যায়। পুলিশে খবর দিলে তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
হৃদয়ের মা রেজিয়া খাতুন বলেন, বাবু নামে একটি ছেলে দুদিন আগেও আমার ছেলেকে মারপিট করেছে। সোমবার (২৮ নভেম্বর) রাত ৭টার দিকে হৃদয় আমাকে কান্না করতে করতে বলে, ” আমি শুনেছি বাবু আমাকে হত্যা করবে এবং আমাকে হত্যা করে সে জেল খাটবে।”
রেজিয়া খাতুন বলেন, এ কথাগুলো বলে কান্না শেষে আমার কাছে ১০ টাকা চায় হৃদয়। হৃদয়কে ১০ টাকা দিলে সে আমাকে খেলা দেখতে বাইরে যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরে আমার ছেলে রাতে আর বাড়ি ফিরে আসেনি।
হৃদয়ের বড় ভাই তুষার বলেন, আমার ভাইকে পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (২৮ নভেম্বর) রাতে বাড়ি থেকে খেলা দেখার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যাবার আগে আমাদের আম্মাকে সে বলে গেছে আমাকে কেউ মারলে বাবুই মারবে। আমি এ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিচার চাই।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
নিউজ পড়েছে
14