ঢাকাশনিবার , ৩১ ডিসেম্বর ২০২২
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জে ১৪০০ কোটি টাকার ২ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প; তহবিল থাকলেও থমকে কাজ

প্রতিবেদক
Kolom 24
ডিসেম্বর ৩১, ২০২২ ৩:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

তহবিলে পর্যাপ্ত টাকা থাকার পরও ভূমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় কিশোরগঞ্জে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার জনগুরুত্বপূর্ণ দুটি প্রকল্পের সড়কের উন্নয়নকাজ থমকে আছে। নির্দিষ্ট সময়সীমা পার করে এরই মধ্যে প্রকল্পের সময় আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত সময়ও শেষ হওয়ার পথে। তবে এখনো ৬০ শতাংশ কাজ বাকি। তাই বর্ধিত সময়সীমায় কাজ শেষ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

অন্যদিকে ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন হাজার হাজার ছোট-বড় যানবাহন চলছে এ দুটি প্রকল্পের সড়কে। নির্মাণকাজ থমকে থাকায় জনদুর্ভোগের সীমা নেই। সব মিলিয়ে এই দুই নির্মাণাধীন সড়কে লাখো মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।

জানা গেছে, ২০২০ সালের মার্চ মাসে কিশোরগঞ্জ থেকে করিমগঞ্জ হয়ে চামড়াঘাট পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়কটি প্রশস্ত করা এবং ছয়না থেকে চৌদ্দশত বাজার পর্যন্ত সাত কিলোমিটারের নতুন একটি সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ শুরু হয়। এতে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৭০৩ কোটি টাকা।

অন্যদিকে একই বছরে কিশোরগঞ্জ থেকে পাকুন্দিয়া হয়ে মির্জাপুর থেকে টোক পর্যন্ত সড়কটি প্রশস্ত করা এবং ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নতুন একটি সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ শুরু হয়। এতে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৭০৬ কোটি টাকা। প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন ও তদারকির দায়িত্ব পায় কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ প্রকৌশল অধিদপ্তর।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামড়াঘাট সড়কে আগে অধিগ্রহণ করা প্রায় ১০ কিলোমিটার জায়গায় সড়ক প্রশস্ত করার কাজ প্রায় শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তা-ও সড়কের মাঝে মাঝে বিভিন্ন স্থানে কাজ বাকি রয়ে গেছে। তবে করিমগঞ্জ-চামড়াঘাট পর্যন্ত বাকি ১০ কিলোমিটারের কাজ ভূমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় আটকে আছে।

অন্যদিকে ছয়না থেকে চৌদ্দশত বাজার পর্যন্ত নতুন সাত কিলোমিটারের সংযোগ সড়কটিতে মাত্র এক কিলোমিটারের মতো জায়গায় কিছু মাটি ফেলা হয়েছে। বাকি ছয় কিলোমিটারে এক কোদাল মাটিও ফেলা হয়নি। ভূমি মালিকেরা ক্ষতিপূরণের টাকা ছাড়া তাঁদের জায়গায় কাজ করতে দিচ্ছে না।

এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ থেকে পাকুন্দিয়া হয়ে মির্জাপুর থেকে টোক পর্যন্ত সড়কটিতে আংশিক কাজ চালু থাকলেও ভূমি অধিগ্রহণের কাজ পুরোটাই এখনো বাকি।

পথচারী ও ভুক্তভোগীরা জানান, প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় এবড়োখেবড়ো সড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এসব সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে মানুষ। বৃষ্টি হলে পানি জমে ভোগান্তি চরমে পৌঁছায়। জরুরি কোনো রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যাতায়াত করতে গেলে সড়ক হয়ে ওঠে মরণফাঁদ।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সড়ক বেহাল হওয়ায় যানবাহন চলছে এঁকেবেঁকে। বৃষ্টির দিন অনেক জায়গায় পানি জমে থাকে। শুকনোর সময় ধুলোর সাগর পাড়ি দিতে হয়। অনেক সময় সড়কের গর্তে গাড়ি আটকে গিয়ে যানজটেরও সৃষ্টি হয়।

যানবাহনের চালকেরা বলছেন, ঝুঁকিপূর্ণ এই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে হরহামেশা। ভাঙা সড়কের ওপর নুড়ি পাথর ফেলার কারণে মোটরসাইকেলের চাকা পিছলে দুর্ঘটনা ঘটছে।

কয়েকজন ভূমিমালিকের দাবি, ক্ষতিপূরণের টাকা হাতে না পেলে তাঁরা ভূমি ছাড়বেন না। কারণ, এসব নিয়ে তাঁদের অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে।

কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামড়াঘাট ও ছয়না-চৌদ্দশত প্রকল্পের ঠিকাদার তাহের ব্রাদার্স লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার মিজান বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতার কারণে নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারিনি। ভূমি অধিগ্রহণ শেষে কাজ শুরু করা উচিত ছিল।’

কিশোরগঞ্জ-পাকুন্দিয়া-মির্জাপুর-টোক প্রকল্পের ঠিকাদার ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার কামাল পাশা বলেন, ‘অধিগ্রহণ না হলেতো একজনের জায়গায় অন্য কেউ কাজ করতে পারবে না। অধিগ্রহণের কাজ শেষ না হওয়ার কারণেই প্রকল্পের কাজ বিলম্বিত হচ্ছে।’

কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া বলেন, প্রকল্পের তহবিলে টাকার কোনো সমস্যা নেই। কাজের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে জোর প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, অধিগ্রহণের মূল কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পুরো প্রক্রিয়া শেষ হবে।

Comments

comments