কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় কৃষক আমিরুল হক হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ রায় দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (ভারপ্রাপ্ত) আইনজীবী আবু সাঈদ ইমাম। রায়ের সময় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত একজন আসামি ছাড়া বাকিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
একই সঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানার আদেশ দিয়েছেন বিচারক। অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুদ্দুস মিয়া (৫২), কুদ্দুস মিয়ার বড় দুই ভাই আবুল কালাম (৬২) ও ধলু মিয়া (৫৭), ধলু মিয়ার ছেলে ফুকন মিয়া (৩২), একই এলাকার সোনাহর (৪৫), মুকুল মিয়া (৫৫) ও তার ছেলে নিকুল মিয়া (৩৫)। এদের মধ্যে কুদ্দুস মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
মামলার নথি ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর রাতে জেলার বাজিতপুর উপজেলার পশ্চিম কুতুবপুরের নিজ বাড়িতে কৃষক আমিরুল হককে পিটিয়ে ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় আসামিরা। এ ঘটনার পরদিন ১১ অক্টোবর কৃষক আমিরুল হকের বড় ছেলে মো. শরীফ মিয়া বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে বাজিতপুর থানায় মামলা করেন। ২০১৬ সালে ১ মার্চ কিশোরগঞ্জ সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক শহীদুল ইসলাম খান সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন কিশোরগঞ্জ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (ভারপ্রাপ্ত) আইনজীবী আবু সাঈদ ইমাম এবং আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী আহসান হাবীব সজীব।
Comments
comments